April 28, 2024
জাতীয়

চট্টগ্রামে চিকিৎসক হত্যার প্রধান সন্দেহভাজন বন্দুকযুদ্ধে নিহত

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

চট্টগ্রামের কুমিরায় চিকিৎসক শাহ আলম হত্যাকাণ্ডের প্রধান সন্দেহভাজন সীতাকুণ্ডে কথিত বন্দুকযুদ্ধে র‌্যাবের গুলিতে নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার ভোররাতে সীতাকুণ্ড উপজেলার উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে বলে র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক সহকারী পুলিশ সুপার তারেক আজিজের ভাষ্য।

নিহত নজির আহমেদ সুমন ওরফে কালু (২৬) সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ডের নতুন পাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে। শাহ আলম হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার এক আসামি ওই ঘটনার ‘হোতা’ হিসেবে কালুর নাম বলেছিল বলে জানিয়েছেন র‌্যাব কর্মকর্তারা।

তারেক আজিজ বলেন, উত্তর বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতের কাছে দলবল নিয়ে কালু অবস্থান করছে খবর পেয়ে র‌্যাবের একটি টহল দল সেখানে অভিযানে যায়। এসময় সেখানে অবস্থান নিয়ে থাকা কালুর সহযোগীরা গুলি করে। র‌্যাবও তখন আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলি থামলে ঘটনাস্থলে নজির আহমেদ সুমন ওরফে কালুর গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে দুটি পিস্তল ও ২২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয় বলে জানান র‌্যাব কর্মকর্তা তারেক আজিজ।

গত শুক্রবার সকালে কুমিরা ঘাট ঘর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশ থেকে ৫৫ বছর বয়সী শাহ আলমের লাশ উদ্ধার করা হয়। এক সময় সৌদি প্রবাসী এই চিকিৎসক দেশে ফিরে কুমিরায় হাসপাতাল করে রোগীদের সেবা দিচ্ছিলেন। স্থানীয়ভাবে তিনি পরিচিতি ছিলেন ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে।

তদন্তে নেমে র‌্যাব জানতে পারে, কুমিরায় নিজের চেম্বার শেষ করে বৃহস্পতিবার রাতে চান্দগাঁওয়ের বাসায় ফেরার জন্য একটি লেগুনায় উঠেছিলেন শাহ আলম। পথে তাকে খুন করে লাশ রাস্তার পাশে ফেলে দেয় যাত্রীবেশে গাড়িতে থাকা ছিনতাইকারীরা। ‘বিন মনসুর পরিবহন’ নামে ওই লেগুনায় চালক মো. ফারুক র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর মঙ্গলবার চট্টগ্রামের বিচারিক হাকিম আদালতে জবানবন্দি দেন।

সেই জবানবন্দির বরাত দিয়ে র‌্যাব কর্মকর্তা তারেক আজিজ বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে শাহ আলম যখন ওই লেগুনায় ওঠেন, তখন গাড়িতে চালক ছাড়া দুইজন যাত্রী ছিলেন। লেগুনা কে-বাই এলাকায় পৌঁছানোর পর আরও দুইজন লেগুনায় ওঠে। এরপর রয়েল গেইট এলাকায় যাওয়ার পর গাড়িতে থাকা চারজন শাহ আলমের কাছ থেকে টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। ছিনতাইকারীদের সঙ্গে শাহ আলমের ধস্তাধস্তি হয়। এসময় তারা শাহ আলমকে মারধর করে এবং ছুরি মেরে হত্যা করে। পরে ঘাট ঘর এলাকায় গাড়ি থেকে লাশ ফেলে চলে যায়।

তারেক আজিজ বলেন, শাহ আলমকে মারার আগে ওই লেগুনায় আরও কয়েকজন যাত্রী ছিনতাইয়ের শিকার হন। ওইদিন তারা রাস্তায় ঘুরে ঘুরে ছিনতাই করছিল। শাহ আলমকে রাস্তায় ফেলে দেওয়ার পর লেগুনাটি বাড়বকুণ্ডের দিকে চলে যায়। সাগর পাড়ে নিয়ে রক্ত ধুয়ে ফেলা হয়।

 

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *