May 20, 2024
জাতীয়লেটেস্ট

ঘূর্ণিঝড় ফণী: ৪-৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ¡াসের পূর্বাভাস

 

 

 

 

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী উপকূল অতিক্রম করার সময় বাংলাদেশের উপকূলীয় নিচু এলাকাগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ¡াসে প্লাবিত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবাহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, সামনে অমাবস্যা থাকায় উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ল²ীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরাঞ্চলে এই জলোচ্ছ¡াস দেখা যেতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের স্থলভাগ পার হওয়ার সময় চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলায় ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ এবং সেই সঙ্গে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের সময় ঝড়ো হাওয়ায় জানমালের ক্ষতির পাশাপাশি জলোচ্ছে¡সের কারণে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঘূর্ণিঝড় আঘাত আনার আগেই উপকূলীয় নিচু এলাকা থেকে মানুষ ও গবাদি পশু সরিয়ে নেওয়া হয় তবে প্রাণক্ষয় কমানো যায়।

ফণীর সম্ভাব্য ক্ষয়-ক্ষতি এড়াতে উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের ইতোমধ্যে সতর্ক করা হচ্ছে। অল্প সময়ের নোটিসে তারা যাতে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে, সেজন্য প্রস্তুতি রাখতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় উচ্চতার জলোচ্ছাস দেখা গিয়েছিল ১৯৭০ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের সময়।

ওই বছরের ১২ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড়ের সময় ১০ থেকে ৩৩ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ¡াসে প্লাবিত হয়েছিল চট্টগ্রামের নিচু এলাকা। ঝড় উপকূল পার হওয়ার সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ২২৪ কিলোমিটার।

১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের সময় চট্টগ্রামে ১২ থেকে ২২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ¡াস দেখা গিয়েছিল। ওই ঝড়ের সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতি ছিল ২২৫ কিলোমিটার।

ফণীর কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল থাকায় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরা ট্রলার ও নৌকাকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের নিরাপদ আশ্রয়েই থাকতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অফিস বলছে, মোটামুটি ৩০০ কিলোমিটার ব্যাসের এ ঝড় শুক্রবার ভারতের ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করে সন্ধ্যার দিকে খুলনাসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে পৌঁছাতে পারে। তবে ঝড়ের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব বাংলাদেশের খুলনা অঞ্চলে দেখা দিতে পারে শুক্রবার সকাল থেকেই।

জ্যেষ্ঠ আবহওয়াবিদ আবদুল মান্নান বলেন, অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব মানে হচ্ছে, আকাশে মেঘ দেখা যাবে, বৃষ্টিপাত শুরু হবে, বাতাস শান্ত থেকে অশান্ত হয়ে উঠবে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *