ঘরের মাঠে সেভিয়ায় আটকে গেল বার্সেলোনা
প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতির তিন ও স্প্যানিশ লা লিগায় দুই- টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে নতুন মৌসুমের ইতিবাচক শুরুর ইঙ্গিতই দিয়েছিল বার্সেলোনা। এই পাঁচ ম্যাচে দাপুটে ফুটবলই খেলেছিল রোনাল্ড কোম্যানের শিষ্যরা। বিশেষ করে লা লিগার দুই ম্যাচে ৭ গোল করে উড়ন্ত ফর্মের জানানই দিচ্ছিল কাতালান ক্লাবটি।
কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে এসেই হোঁচট! ঘরের মাঠে সেভিয়ার বিপক্ষে জিততে পারেনি বার্সেলোনা। বলা ভালো, কোনোমতে হার এড়িয়েছেন লিওনেল মেসি, অ্যান্তনিও গ্রিজম্যানরা। খেলা শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যে হওয়া দুই গোলে ম্যাচের ফলাফল ১-১ ব্যবধানে ড্র।
নিজেদের ঘরের মাঠে খেলা হলেও পুরো ম্যাচে তেমন একটা আধিপত্য বিস্তার করতে পারেনি বার্সা। বল দখলের লড়াইয়ে খানিক এগিয়ে থাকলেও, সাজানো গোছানো আক্রমণে বারবার স্বাগতিকদের পরীক্ষা নিয়েছে সেভিয়া। তবে দুর্বল ফিনিশিংয়ের কারণে একটির বেশি গোল তারা করতে পারেনি।
ম্যাচের অষ্টম মিনিটে প্রথম গোলটি করে সেভিয়া। দর্শকশূন্য ক্যাম্প ন্যু স্টেডিয়ামকে নিশ্চুপ নীরবতায় ডুবিয়ে দেন লুক ডি ইয়ং। সুসোর বাড়ানো ক্রস ঠিকঠাক ক্লিয়ার করতে পারেননি বার্সার মিডফিল্ডার ফ্রেংকি ডি ইয়ং। সেই বল ধরে বার্সার জালে মৌসুমের প্রথম গোল প্রবেশ করান লুক ডি ইয়ং।
তবে মাত্র ২ মিনিটের মধ্যেই ম্যাচে সমতা ফেরায় বার্সেলোনা। পুরো ম্যাচে আলো ছড়ানো ফিলিপ কৌতিনহোই করেন গোলটি। এতেও ছিল সেভিয়ার রক্ষণের ভুল। লিওনেল মেসির শট ফেরালেও, সেটি কৌতিনহোর পায়ে দিয়ে দেন সেভিয়া ডিফেন্ডার হেসুস নাভাস। সহজ সুযোগ পেয়ে গোল করতে ভুল করেননি কৌতিনহো।
মাত্র দশ মিনিটের মধ্যে দুই গোলের দেখা মিললেও, ম্যাচের বাকি সময়টা শুধুই ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতার গল্প। একের পর এক গোল মিসের মহড়ায় বারবার নষ্ট হয়েছে সাজানো গোছানো আক্রমণ। কখনও ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতা, আবার কখনও গোলরক্ষকদের দৃঢ়তায় পুরো ম্যাচে আর গোল হয়নি একটিও।
ফলে দুই দলকেই মাঠ ছাড়তে হয় নতুন মৌসুমে নিজেদের প্রথম ড্র নিয়ে। তিন ম্যাচে সমান ২টি করে জয় ও ১টি করে ড্র বার্সেলোনা ও সেভিয়ার। দুই দলের পয়েন্ট সমান ৭, গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় পাঁচে বার্সা ও ছয় নম্বরে রয়েছে সেভিয়া। চার ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে রিয়াল মাদ্রিদ।