May 4, 2024
আন্তর্জাতিকলেটেস্ট

গোটা দুনিয়ার নজর ‘গাধা-হাতি’র লড়াইয়ে

বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৫৯তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচিত হবেন দেশটির ৪৬তম প্রেসিডেন্ট

নির্বাচন কেন্দ্র করে গোটা দুনিয়া তাকিয়ে আছে দেশটির দিকে। কে ধরবেন যুক্তরাষ্ট্রের হাল, ট্রাম্প না বাইডেন?

বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবারও নির্বাচনে প্রার্থী। তার প্রতীক ‘হাতি’। এবার ট্রাম্পের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। তার প্রতীক ‘গাধা’। শেষ হাসি কে হাসবে সেটা নিশ্চিত হওয়া যাবে শিগগিরই। তবে বিভিন্ন সমীক্ষায বলছে এবার ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে বাইডেন।

সবশেষ রোববার নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন দুই প্রার্থী। মিশিগান, আইওয়া, নর্থ ক্যারোলিনার মতো জায়গায় সভা করেছেন ট্রাম্প। অন্যদিকে বাইডেন ব্যস্ত ছিলেন জর্জিয়া ও ফ্লোরিডাতে প্রচারের কাজে।

আমেরিকার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন দেশের বেশিরভাগ মানুষ। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় প্রতি চারজনের মধ্যে তিনজনই মনে করছেন, নির্বাচনের পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়বে।

দৈনিক ইউএস টুডে ও সাফোক ইউনিভারসিটি যৌথভাবে এ সমীক্ষা পরিচালনা করেছে। তাতে দেখা যায়- মার্কিন এক-চতুর্থাংশ ভোটার সহিংসতা বিষয়ে উদ্বিগ্ন।

তাছাড়া আমেরিকার ভোটের সময় ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর পাশাপাশি সম্ভাবনা রয়েছে অস্থিরতা বাড়ার। এরইমধ্যে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ফেসবুকের কর্ণধার মার্ক জুকারবার্গ। তার মতে, এই ভোট সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর কাছে এক কঠিন পরীক্ষা হতে চলেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলীয় উইসকনসিন ও মিশিগান অঙ্গরাজ্যে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সিএনএন পরিচালিত এক জনমত সমীক্ষায় ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা যায়।

তবে অ্যারিজোনা ও নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যে দু’জনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই চারটি অঙ্গরাজ্যের সবগুলোতেই জয়ী হয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে এর যেকোনো একটি অঙ্গরাজ্য হারলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য ২৭০টি ইলেক্টোরাল ভোট অর্জন করা কঠিন হয়ে যাবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে দোদুল্যমান রাজ্যগুলোর দিকে নজর দিচ্ছেন ট্রাম্প বাইডেন দু’জনেই। এই অঙ্গরাজ্যগুলোর ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন উভয়েই। কারণ শেষমেষ নির্বাচনে জয়ের ক্ষেত্রে এই দোদুল্যমান রাজ্যগুলো একটা বড় ভূমিকা নেয়। গড়ে দেয় হারজিতের পার্থক্য।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *