May 4, 2024
আঞ্চলিক

গভ. ল্যাবরেটরি স্কুল ক্যাম্পাসে অপরিকল্পিত মাটিকাটায় ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে

 

খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধি

খুলনা গভ. ল্যাবরেটরি হাই স্কুল ক্যাম্পাসে প্রস্তাবিত থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস নির্মাণ কাজের ফাউন্ডেশনের অপরিকল্পিত মাটিকাটার ফলে মূলভবন রক্ষায়  নিরাপত্তা বেষ্টনী না দেওয়ায় মাটি ধ্বসে ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। ঝুকিপুর্ণ ভবনটি থেকে গতকাল বৃহস্পতিবারের পিএসসি পরীক্ষা শুরুর আগে দুটি কক্ষের পরীক্ষার্থীদেরকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এবং ভবনের কোন ধরনের নিরাপত্তা বেষ্টনী না করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ঝুকিপুর্ণ ভাবে কাজ শুরু করায় স্কুল কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বেষ্টুনী না করা পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখার জন্য সংশ্লষ্ট দপ্তর গুলোতে পত্র প্রেরণ করেছে।

জানাগেছে, খানজাহান আলী, দৌলতপুর এবং খালিশপুর থানা অঞ্চল নিয়ে থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের জন্য আড়ংঘাটা থানা এলাকার তেলিগাতীতে অবস্থিত খুলনা গভ. ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের একাডেমিক ভবনের সামনে পশ্চিমপাশে স্থান নির্ধারণ করে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর চারতালা বিশিষ্ট একটি ভবনের দুই তালা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স মনির ট্রেডার্স। স্কুল কর্তৃপক্ষকে কোন ধরণের অবহিত না করে গত ১৯ নভেম্বর ভবন নির্মাণের ফাউন্ডেশনের জন্য স্কেবেটার দিয়ে মাটি খননের কাজ শুরু করে। বুধবার স্কুলের কর্মচারীরা ভবন নির্মাণের অংশের একাডেমিক ভবনের পাশ থেকে মাটি ধ্বস এবং ভবনের দ্বিতীয় তালায় বিল্ডিংয়ে ফাটল দেখতে পায়। বিষয়্িট প্রধান শিক্ষককে অবহিত করলে তিনি সরেজমিনে ঘুরে গতকাল বৃহস্পতিবার ভবনটির ২১০ ও ২১১নং কক্ষের পিএসসি পরীক্ষার্থীদেরকে সরিয়ে নিয়ে অন্য রুমে পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে একাডেমিক ভবনে গ্রেডভীমের পাশ থেকে বড় একটি অংশ নিয়ে মাঠি ধ্বসে পড়েছে। ঐ অংশের ভবনের দ্বিতীয় তালায় দুই স্থানে বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। লে-আউটের কাজ করা মিস্ত্রী ইমরান হাওলাদার জানায় মাটি ধ্বসের ফলে ঠিকাদার তাকে একাডেমিক ভবনের পর্বের লে আউট থেকে ৫ফিট সরে এসে নতুন করে লে-আউট দিতে বলায় সে এই কাজ করতে এসেছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক(ভারপ্রাপ্ত) খালেদা খানম বলেন কাজ শুরুর আগেই ঠিকাদারসহ ইঞ্জিনিয়ারদেরকে বলা হয়েছিল শিক্ষার্থীদের এবং ভবনের সকল ধরনের নিরাপত্তা বেষ্টনীর ব্যবস্থা করে কাজ শুরু করার জন্য। ঠিকাদার  প্রতিষ্ঠান তার কোন ব্যবস্থা না নিয়ে এবং আমাদেরকে অবহিত না করে কাজ শুরু করে। সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারনে ভবনটি ঝুকির মধ্যে রয়েছে। তিনি বলেন মূলভবন থেকে ১৩ ফিট দুর থেকে কাজ শুরু করার কথা বলা হলেও তারা স্কেবেটার দিয়ে এর মধ্যে মাটি খনন করায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা শিক্ষা প্রকৌশল অফিসের উপ-সহকারি প্রকৌশলী ইঞ্জি, সিদ্দিকুর রহমানের ব্যবহৃত (০১৭১১২৬৫১২০) মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *