May 11, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

খুলনা-৪ আসনে নৌকার মাঝি হতে চান যুবলীগ নেতা পলাশ

দ. প্রতিবেদক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৪ (রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন খুলনা মহানগর যুবলীগের সভাপতি সফিকুর রহমান পলাশ। রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকার বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন পূরণ করে জমা দেন তিনি। এর আগে গতকাল রবিবার সকালে তিনি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজুল ইসলাম টিটো, নাসির হোসেন সজল, শেখ নাজমুল হাসান, সাবেক ছাত্রনেতা আসিফ ইকবাল টনি, মেহেদী হাসান রাসেল, নগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জহির আব্বাস, ইয়াসিন আরাফাত, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান রাজেস ও ছাত্রলীগ নেতা মোঃ শামীম শেখ প্রমুখ।
মনোনয়ন জমাদান শেষে সফিকুর রহমান পলাশ জানান, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় নির্বাচনের কোন বিকল্প নাই। যারা জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী না তারা নির্বাচন চাই না। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন সৈনিক হিসেবে দলের নিকট মনোনয়ন চেয়েছি। দলের সর্বোচ্চ ফোরাম, আমাদের অভিভাবকেরা দায়িত্ব দিলে আমি দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত। আমি ব্যাতিত অন্য কেউ দলের মনোনয়ন পেলেও নৌকার বিজয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো।
উল্লেখ্য, সফিকুর রহমান পলাশ ১৯৭৬ সালের ৪ ডিসেম্বর রূপসা উপজেলার রাজাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা অবসর প্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মসফিকুর রহমান ও মাতা গৃহিনী শাহানার বেগম। রূপসা, ভৈরব ও আঠারোবেকি নদীর তীরে বেড়ে ওঠা সফিকুর রহমান পলাশ ছাত্রজীবন থেকে পারিবারিকভাবে জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে লালন করে রাজনীতি ও জনগণের সেবা করে এসেছেন। তার চাচা ও মামারা স্থানীয় আ’লীগের বিভিন্ন দায়িত্বশীল পদে বিভিন্ন সময় দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি ১৯৮৮ সালে ছাত্রজীবনে বেলফুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে ছাত্রলীগের পদে আসেন। এর পরে ইউনিয়ন, উপজেলা, কলেজ ও নগর ছাত্রলীগের বিভিন্ন দায়িত্বশীল পদে দায়িত্ব পালন শেষে ২০০৩ সালে নগর ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ছাত্রজীবনে তিনি, সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজের ১৯৯১-৯২ সালের ছাত্র সংসদের নির্বাচিত শ্রেণি প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে ৯৩-৯৪ ছাত্র সংসদে তিনি নির্বাচিত ছাত্র মিলনায়তন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের বিরোধীদল দমনে চালানো অপারেশন ক্লিন হার্টের সময় নগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়ে সরকারি বিরোধী কর্মসূচি পালন করায় মিথ্যা মামলায় কারাভোগ করেন। ২০০৪ সালে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা, দ্রুত বিচার আইনের মামলার আসামী হন। ২০০৬ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সেনা শাসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে অসংখ্য মিথ্যা মামলার আসামী হন। পরবর্তীতে তার ছাত্র রাজনীতির সফলতার কারণে তাকে ২০১৯ সালে নগর যুবলীগের আহ্বায়ক ও ২০২৩ সালে নগর যুবলীগের সম্মেলনে বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়।

দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়

শেয়ার করুন: