May 2, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ২০২৩ উপলক্ষে মেয়র পদপ্রার্থী আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক-এর পক্ষে ভোট চেয়ে এলাকাবাসীর প্রতি গোলাম মাওলা শানুর খোলা চিঠি

প্রিয় এলাকাবাসী, আসসালামু আলাইকুম ।

নিজের জন্য নয়, আমি একজন গুরুত্বপূর্ণ মানুষের কথা বলার জন্য আজ কলম তুলে নিয়েছি । আশা করি, আমার কথাগুলি আপনারা ধৈর্য্য সহকারে পড়বেন এবং গভীরভাবে ভাববেন । অত:পর, পড়া ও ভাবনাচিন্তা শেষে যদি মনে করেন, আমি যুক্তিসঙ্গত কিছু বলেছি, তাহলে, সে মোতাবেক, প্রত্যেকের অবস্থান থেকে সম্মিলিতভাবে কাজ করবেন ।

প্রিয় ২৬ নং ওয়ার্ডবাসী,

সুযোগ বার বার আসে না । যখন আসে, তখন সেই সুযোগটাকে যদি সবাই মিলে, দলমত নির্বিশেষে, ক্ষুদ্র-আত্মস্বার্থ- চিন্তার উর্ধ্বে উঠে, বুদ্ধিমান মানুষের মত কাজে লাগানো যায়, তাহলে, অবশেষে, সাংঘাতিকভাবে লাভবান হওয়া যায় । পাশাপাশি, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও ন্যয়সঙ্গত, ভাল কিছু করা যায় ।

প্রিয় ভাই ও বোনেরা,

আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আপনাদের তিনটি ভোট রয়েছে । আমি আপনাদের তিনটি ভোটের একটি চাই । এই একটি ভোট চাই আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেকের জন্য । কারণ, এই মানুষটা আমাদের ওয়ার্ডের জন্য অসম্ভব একজন নিবেদিতপ্রাণ মানুষ । আপনারা জানেন, তিনি আমাদের জন্য কী কী করেছেন । প্রথমত: যখন আপনারা তালুকদার কমিউনিটি সেন্টারে কোনো অনুষ্ঠানে যান, আপনারা অনুভব করেন, যেন আপনারা নিজেদের বাড়িতে অনুষ্ঠান করছেন এবং সেটা ন্যূনতম মূল্যে । দ্বিতীয়ত আন্ধির পুকুরকে তিনি একটি স্থায়ী জলাধার করার বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছেন, যেটি একদিকে যেমন হবে বিশুদ্ধ টলটলে পানিতে পূর্ণ, অন্যদিকে হবে বৈকালিক বিনোদনের অন্যতম এক কেন্দ্র । পুকুরটি কোনোদিন কেউ ভরাট করার দুঃসাহস দেখাবে না এই মর্মে প্রশাসনিক আদেশ জারি হয়েছে । প্রজন্ম থেকে প্রজান্মান্তরে আন্ধির পুকুর হবে এলাকার গণমানুষের সম্পত্তি । হবে উদাহরণ, হবে সম্মানের একটি উৎস: খুলনা শহরের কোথাও যা নেই, তা ২৬ নং ওয়ার্ডে আছে, মানুষ বলবে । আন্ধির পুকুর আর কখনো ভরাট হবে না । আমি শুধু বলতে চাই, এবার, এই নির্বাচনকে সামনে রেখে, তালুকদার আব্দুল খালেক আমাদের ওয়ার্ডবাসীর একটি ‘স্বপ্ন’কে কঠিন আন্তরিকতা দিয়ে স্পর্শ করেছেন । আমাদের স্বপ্ন কি?

ঘড়িওয়ালার বিলকে খেলার মাঠে রূপান্তরকরণ ।।

শিশু-কিশোরের শারীরিক বৃদ্ধি ও মননের সৃষ্টিশীল বিকাশের জন্য প্রয়োজন সুস্থ শরীর । সুস্থ শরীর তখনই সম্ভব, যখন উঠতি বয়সের বাচ্চারা খেলাধূলার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় শরীর চর্চার সুযোগ পাবে । কিন্তু কোথায় সেই সুযোগ? কোথায় খেলাধূলার মাঠ? ইটের ইমারতের নিচে চাপা পড়ে যাচ্ছে, শিশু- কিশোরদের দৌঁড়ানোর জায়গা । এমতাবস্থায়, ঘড়িওয়ালার বিলকে নিয়ে যে প্রজেক্ট করা হয়েছে, তার নামকরণ করা হয়েছে ‘সেখ সালাউদ্দিন ময়দান’ । প্রস্তাবিত এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পক্ষে আমাদের তাই এবার শক্ত অবস্থান নিতে হবে । শুধু ভাবুন, আমরা স্বপ্ন ও সম্ভাবনার কোন স্বর্ণদুয়ারে দাঁড়িয়ে আছি! এই পর্যায়ে, আমি আপনাদের কাছে সুচিন্তিত একটি বিবেচনা প্রত্যাশা করছি । বিবেচনাটা এইরকম যে, আমি চাই আমাদের মাঠের প্রকল্পটি আগামী মেয়াদের সিটি কর্পোরেশনের প্রথম সাধারণ সভায় প্রধান আলোচ্যসূচি হিসেবে পাশ হোক । সেক্ষেত্রে, ৩১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ভোটের অনুপাত বিচারে আমাদেরকে প্রথম স্থান অধিকার করতে হবে । তাহলেই, আমরা চিৎকার করে বলতে পারবো, আমাদের ভোটের সংখ্যাটা দেখুন । এখন এটি আমাদের দাবি । এটি আমাদের স্বপ্ন । এটি আমাদের প্রাপ্য । আমাদের অধিকার । আমি আপনাদের গত চার মেয়াদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, এটাই আমার শেষ নির্বাচন । আমরা যেন আমাদের ওয়ার্ডটাকে এবার মনের মত করে গড়ে নিতে পারি । আসুন স্বপ্ন দেখি, ভোট দেই, অসম্ভবকে সম্ভব করি । আমার স্বপ্ন, আগামী ২০২৬ সালের ঈদুল আযহার নামাজ আমরা ‘সেখ সালাউদ্দিন ময়দানে’ একসাথে আদায় করি । আল্লাহ যেন তাঁর অশেষ রহমতের দ্বারা আমাদের সবাইকে ভাল রাখেন ।

আপনাদেরই গোলাম মওলা শানু

শেয়ার করুন: