খুলনা জেলায় শনাক্তের হার ৬৪ শতাংশেরও বেশি!
দ. প্রতিবেদক
খুলনা জেলা ও মহানগরীর ২০১ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১২৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। অর্থাৎ শুধুমাত্র খুলনায়ই শনাক্তের হার ৬৪ শতাংশেরও বেশি। শনিবার রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) এর আরটি-পিসিআর ল্যাব সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
খুমেকের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, শনিবার রাতে খুমেকের আরটি-পিসিআর মেশিনে মোট ৪৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ২৩৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে খুলনার ২০১ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১২৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া বাগেরহাটে ৯৩ জন, যশোরে ৮ জন, সাতক্ষীরায় ৩ জন, নড়াইল, পিরোজপুর ও ঝিনাইদহের ১ জন করে রয়েছেন। অর্থাৎ শুধুমাত্র খুলনা জেলায়ই শনাক্তের হার ৬৪ শতাংশেরও বেশি।
এদিকে খুলনার দুই হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এরমধ্যে খুলনা করোনা হাসপাতালে ৭ জন ও গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে গতকাল শনিবার রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) এর আরটি-পিসিআর ল্যাবে ২৩৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা করোনা হাসপাতালে রেড জোনে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন- খুলনা সদরের আনিসুর (৬০) ও পিরোজপুর সদরের লতিফ শেখ (৭৫), নড়াইলের কালিয়ার তাহিরুল (৭০), খুলনা সদরের ইমরান (৪৮), বাগেরহাটের সদরের শহিদুল্লাহ (৭৪), মিঠুন (২৮) ও একই এলাকার কুলসুম (৯০)। এছাড়া খুলনার ১৩০ শয্যার করোনা হাসপাতালে ১৫৬ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ২৯ জন, আবার সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ৪০ জন। আর আইসিইউ’তে রয়েছেন ১৯ জন।
গাজী মেডিকেলের স্বত্বাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন- যশোরের কেশবপুরের ভরত ভায়না এলাকার জিয়াউর রহমান (৪২) ও মনিরামপুরের রামপুর এলাকার মোঃ ইহসাক সানা (৮০)। এ হাসপাতালে ৯৪ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তার মধ্যে আইসিইউতে ৭ জন ও এইচডিইউতে ৭ জন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। গেল ২৪ ঘন্টায় আরো ৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন, আর সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ৮জন। মোট চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৬জন রোগী।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়