খুলনা করোনা হাসপাতালে বাড়ছে ৩০টি শয্যা, সদরেও ৭০ শয্যার করোনা ইউনিট
দ. প্রতিবেদক
বিভাগীয় জেলা খুলনায় প্রতিনিয়ত করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন করোনা হাসপাতালের ১০০ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি ধারণ ক্ষমতার বাইরে। রোগীর চাপ সামলাতে করোনা হাসপাতালে আরও ৩০ শয্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এদিকে খুলনা জেনারেল (সদর) হাসপাতালেও করোনা রোগীদের জন্য ৭০ শয্যার ইউনিট খোলা হয়েছে।
জানা গেছে, খুলনায় করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। জেলা ও মহানগরীতে রোগী শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। ফলে হাসপাতালে প্রতিদিনই করোনা রোগীর চাপ বাড়ছে। রোগী ভর্তি থাকছে ধারণক্ষমতার বাইরে। ১০০ শয্যার করোনা হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিল ১৩৯ জন। অতিরিক্ত রোগী ভর্তির কারণে শয্যা সংকট দেখা দেয়। ফলে রোগীদের ফ্লোরে রাখতে হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে রোগীদের। অবশেষে খুলনা করোনা হাসপাতালে বুধবার ৩০টি শয্যা বাড়ানো হয়েছে। খুলনা করোনা হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা এখন ১৩০টি। বেড়েছে চিকিৎসক ও নার্স।
এদিকে শুধু করোনা হাসপাতালেই শয্যা বাড়ানো হচ্ছে না, খুলনায় বাড়ছে ৭০ শয্যাবিশিষ্ট নতুন আরেকটি করোনা ইউনিট। আগামী ২০ জুন থেকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলারেল হাসপাতালে ৭০ শয্যার করোনা ইউনিট চালু হচ্ছে। ওই দিন থেকে করোনা রোগী ভর্তি শুরু হবে। এ জন্য ১৫ জুন (মঙ্গলবার) থেকে সাধারণ রোগী ভর্তি সেখানে বন্ধ রয়েছে। অন্যান্য রোগাক্রান্তদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। সব মিলিয়ে খুলনায় করোনা রোগীদের জন্য বাড়ছে আরও ১০০ শয্যা।
খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকালপার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, রোগীর চাপ বেড়েছে। যে কারণে শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। শয্যা বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল। ৩০টি শয্যা বেড়ে এখন ১৩০ শয্যাবিশিষ্ট ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে পরিণত হয়েছে।
খুলনা জেলার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, খুলনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে কোভিড রোগীদের জন্য ৭০টি শয্যা থাকছে। তবে অন্য রোগীদের এখানে ভর্তি নেওয়া হবে না। প্রথম ধাপে চিকিৎসক ২৪ চিকিৎসক লাগবে। এছাড়া প্রয়োজনীয় জনবল আমাদের রয়েছে।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়