খুলনা উপকূল অতিক্রম করছে সুপার সাইক্লোন ‘আম্পান
দ. প্রতিবেদক
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুপার সাইক্লোন আম্পানের অগ্রভাগ বর্তমানে খুলনা উপকূল অতিক্রম করছে। যার প্রভাবে খুলনায় ৭১ কিলোমিটার বেগে দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়া বইছে। আরও এক ঘণ্টা ধরে এটি খুলনা উপকূল অতিক্রম করবে। তখন বাতাসের বেগ ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার হবে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের অগ্রভাগ সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রা, মোংলা ও সাতক্ষীরার শ্যামনগরে আঘাত হেনেছে। ওই এলাকায় বর্তমানে বাতাসের গতিবেগ ৬০–৭০ কিলোমিটার।
তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার সকাল ৬টায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়। খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, বরগুনাসহ উপকূলীয় জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। বুধবার সারা রাত ধরে আম্পান সুন্দরবন উপকূল অতিক্রম করবে।
এদিকে, আম্পানের প্রভাবে মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে খুলনা অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে সাড়ে ৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১০–১৫ ফুট অধিক উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেন, স্থানীয় নদ–নদীতে ৫ থেকে ৬ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উপকূল সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকার মানুষ সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।
খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, খুলনার উপকূলীয় এলাকার ২ লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। তবে, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাননি তিনি।