November 27, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্ট

খুলনায় হাসপাতাল, বাজার কেন্দ্রিক সড়ক উন্নয়নে ৭৫ কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

খুলনা মহানগরীর হাসপাতাল, বাজার, কবরস্থান, শ্মশান ঘাট সংলগ্ন সড়কসমূহের উন্নয়নে ৭৫ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। এজন্য ‘লোকাল গভর্নমেন্ট কোভিড-১৯ রেসপন্স অ্যান্ড রিকভারি (এলজিসিআরআর)’ নামের একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। আগামী বছর সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হবে।
কেসিসির পরিকল্পনা বিভাগ থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালে করোনার সময় নগরীর হাসপাতাল, বাজার, কবরস্থান, শ্মশান ঘাট সংলগ্ন সড়কের উন্নয়নে জরুরী ভিত্তিতে অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়। ওই সময় বিশ্বব্যাংক এই খাতে অর্থ বরাদ্দ দিতে সম্মত হয়। কিন্তু মাঝে দুই বছর নানা কারণে প্রকল্পটির কার্যক্রম বন্ধ ছিলো। স¤প্রতি প্রকল্পটির কাজে গতি পেয়েছে।সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক-এর সভাপতিত্বে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী’র সাথে কেসিসি কর্মকর্তাদের সভা মঙ্গলবার দুপুরে নগর ভবনের জিআইজেড মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্মসচিব) লস্কার তাজুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী মোঃ মনজুরুল ইসলাম, তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. স্বপন কুমার হালদার, চীফ প্লানিং অফিসার আবির উল জব্বার প্রমুখ ।
সিটি মেয়র সময়োপযোগী এ প্রকল্প গ্রহণ করায় স্থানীয় সরকার, পল­ী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তাজুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবেলায় বর্তমান সরকারের গৃহীত কার্যক্রম দেশে বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। যথা সময়ে ভ্যাকসিন প্রদান, কর্মহীন পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা করায় ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সাধারণ মানুষের জন্য সহজ হয়েছে। গৃহীত প্রকল্প এ ক্ষেত্রে আরও অবদান রাখতে সক্ষম হবে বলে সিটি মেয়র উলে­খ করেন।
এর আগে প্রকল্পের আওতায় কি কি কাজ হবে-তা চূড়ান্ত করতে গতকাল মঙ্গলবার খুলনায় আসেন এলজিইডি’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (নগর ব্যবস্থাপনা) শেখ মুজাক্কা জাহের।
কেসিসির চীফ প্লানিং অফিসার আবির উল জব্বার জানান, করোনার কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর নতুন করে প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ৭৫ কোটি টাকা দিয়ে কোন কোন সড়ক সংস্কার করা হবে-তা চূড়ান্ত করতে আবারও বৈঠক হবে। এরপর সড়ক এবং কাজ চূড়ান্ত হবে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *