May 19, 2024
আঞ্চলিক

খুলনায় যুব ইউনিয়নের ৪৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

খবর বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশে যুব ইউনিয়নের ৪৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী (২৮ আগস্ট ১৯৭৬) উপলক্ষে খুলনা জেলা কমিটির উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন সকাল ১০:৩০টায় ইকবালনগর মোড়, কেডিএ এভিনিউস্থ লায়ন্স ক্লাবের (লায়ন্স চক্ষু হাসপাতাল) সামনের সড়কে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। ৪৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ৪৩টি নীল বেলুন উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধনের পর নগরীতে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়।

কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি, গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক খান আসাদুজ্জামান মাসুম। পরে লায়ন্স ক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের খুলনা জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সদস্য এড. নিত্যানন্দ ঢালীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত মুখার্জীর সঞ্চালনায় আলোচনা অনুুষ্ঠানে ‘সমাজ প্রগতির সংগ্রামে যুব সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র কেন্দ্রীয় সদস্য খুলনা জেলা সভাপতি ডাঃ মনোজ দাশ। ‘বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের ইতিহাস ও ঐতিহ্য’ শীর্ষক আলোচনায় আলোচক ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র কেন্দ্রীয় সদস্য এস এ রশীদ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেনÑসিপিবি’র খুলনা মহানগর সভাপতি এইচ এম শাহাদাৎ, সাবেক ছাত্রনেতা এড. কুদরত-ই-খুদা, সাবেক ছাত্র ইউনিয়ন নেতা প্রফেসর ড. মনিরুল ইসলাম (রিপন)।

প্রধান বক্তা ছিলেন যুব ইউনিয়নের প্রেসিডিয়াম সদস্য, অভিনয় শিল্পী সুমনা সোমা। বক্তৃতা করেনÑসংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য এড. মোঃ বাবুল হাওলাদার। স্বাগত বক্তৃতা করেন প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন পরিষদের আহŸায়ক যুব ইউনিয়নের জেলা সদস্য আফজাল হোসেন রাজু। বিকেলে লায়ন্স ক্লাব মিলনায়তনে ছাত্র-যুব-প্রাক্তন পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেনÑসুতপা বেদজ্ঞ, মাহবুবুল আলম বুলবুল, সুখেন রায়, কিশোর রায়, দীন মোহাম্মদ, ওয়াহিদুর রেজা বিপলু, মীর ওবায়দুর রহমান, হুমায়ূন কবীর, মাহফুজুর রহমান মুকুল, নীরজ রায়, সরকার ভূষণ চন্দ্র তরুণ, মাহমুদ হাসান রনি, এস এম দেলোয়ার হোসেন, শেখ মোঃ আব্দুল হালিম, এড. আরিফা খাতুন, জামসিদ হাসান জিকু, মিহির সরকার, সুজিত সাহা, সরোজ দাস পিণ্টু, উত্তম রায়, সৌরভ সমাদ্দার, শেখ রবিউল ইসলাম রবি, শেখ রাজিব, উজ্বল পাল প্রমুখ। দুপুর ও সন্ধ্যায় দুই পর্বে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট গণসঙ্গীত শিল্পী দাস কালীদাস, পরিতোষ হালদার, রুপা দাস, স্থানীয় শিল্পীদের মধ্যে শামসুল হক, মেহেদী ইনছার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সী গাউসুল হক, অজিত নীলমণিসহ স্থানীয় শিল্পীবৃন্দ। সন্ধ্যায় সমাপনী অনুষ্ঠান ও র‌্যাফেল ড্র’র মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *