খুলনায় মোবাইলের বিরোধে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার আরও ২, প্রধান আসামীর স্বীকারোক্তি
দ. প্রতিবেদক
খুলনা মহানগরীতে মোবাইল ফোন হারানোর বিষয়কে কেন্দ্র করে রানা সরদারকে (৩২) হত্যায় জড়িত প্রধান আসামী রাব্বি হোসেন গোলদার (২৫) ও ফরহাদ হোসেন (২৪) নামে আরও এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে প্রধান আসামী রাব্বি হত্যার দায় স্বীকার করে বুধবার মহানগর হাকীম সারওয়ার আহমেদ এর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছেন। এছাড়াও হত্যায় ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন সোনাডাঙ্গা আলীর ক্লাব এলাকায় দুলাল ডাক্তারের জমিতে বসবাসরত মৃত আকবার গোলদারের ছেলে আরবি গোলদার ও রাব্বি হোসেন গোলদার এবং সোনাডাঙ্গা বকুল বাগান লেন শতরুপা মোড়স্থ মৃত মোখলেছুর রহমানের ছেলে ফরহাদ হোসেন (২৪)। নিহত রানা সরদার প্রধান আসামী রাব্বির আপন খালাতো ভাই ছিলেন বলে জানা গেছে। নিহত রানা সোনাডাঙ্গা আলীর ক্লাব সংলগ্ন এলাকার মৃত মান্নান সরদারের ছেলে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা থানার এসআই অনুপ কুমার ঘোষ জানান, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় যশোরের অভয়নগর থানা এলাকা থেকে এই হত্যার ২নং এজাহারভুক্ত আসামী আরবি গোলদারকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তার স্বীকারক্তি অনুযায়ী রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে খানজাহান আলী থানাধীন মশিয়ালি স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা থেকে ১নং এজাহারভুক্ত আসামী রাব্বিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে দুই আসামীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ২টায় সোনাডাঙ্গা জোড়া ৪ তলা বকুল বাগান গলি এলাকায় আসামি ফরহাদ হোসেনকে তার নিজ বাসা থেকে আটক করা হয় এবং তার কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুড়িটি উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও বলেন, আসামী আরবি গোলদার ও ফরহাদ হোসেনকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়ে আদালতে সোপর্দ করলে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন। আগামী ৩০ মে ওই দুই জনের রিমান্ড শুনানীর জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত। এঘটনায় জড়িত অপর আসামীদেরকে গ্রেফতারে জোড় চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
জানা যায়, গত ২১ মে (শুক্রবার) দুপুর আড়াইটার দিকে মোবাইল হারানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাব্বি হোসেন গোলদার (২৫), আরবি গোলদার (২০), আকবার গোলদার, শিরিনা বেগম (৪২) ও নজরুল ইসলাম (৫৫)সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রানা সরদারের ওপর চড়াও হন। এ সময় রাব্বি হোসেন তার কোমরে থাকা চাকু বের করে রানা সরদারের বুকের ডান পাশে আঘাত করে। এতে রানা গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয়। রানার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এসে তাকে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসারত অবস্থায় রানা সোমবার (২৪ মে) রাত আড়াইটার দিকে মৃত্যুবরণ করেন। মঙ্গলবার (২৫ মে) মৃত্যুর পর নিহত রানার মা ডলি বেগম (৫০) বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামী করে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। যার নং-২০।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়