খুলনায় মাতৃদুগ্ধ বিষয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত
তথ্য বিবরণী
মাতৃদুগ্ধ বিকল্প, শিশু খাদ্য, বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য ও এর ব্যবহারের সরঞ্জামাদি আইন ও এর বিধিমালা বিষয়ে অবহিতকরণ সভা গতকাল মঙ্গলবার সকালে খুলনা স্কুল হেলথ ক্লিনিক সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় পুষ্টিসেবা, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ব্রেস্ট ফিডিং ফাউন্ডেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শিশুকে নিরাপদ রাখতে ঘরে তৈরি খাবার দিতে হবে। শিশুর জন্মের পর ছয় মাস পর্যন্ত শুধু বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। কোন প্রকার গুঁড়োদুধ খাওয়ানো যাবে না। এজন্য বাবা ও মাকে বেশি সতর্ক থাকতে হবে। নিরাপদ খাদ্যের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তাঁরা আরও বলেন, মাতৃদুগ্ধ খাদ্য আইন, ২০১৩ ও এর বিধিমালা, ২০১৭ বাস্তবায়ন করতে হলে পেশাজীবীসহ সকলকে জনসচেতন করা এবং মিডিয়ায় বেশি বেশি প্রচার-প্রচারণা বাড়াতে হবে।
খুলনার সিভিল সার্জন ডাঃ এএসএম আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ইশরাত জাহান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক মোঃ আব্দুল আলিম, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আতিয়ার রহমান শেখ প্রমুখ। সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্রেস্ট ফিডিং (বিবিএফ) এর সমন্বয়কারী সুজিত কুমার মৌলিক। অবহিতকরণ সভায় জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, কোন ব্যক্তি এই আইনের কোন বিধান লংঘন করলে অনূর্ধ্ব তিন বছরের কারাদন্ড বা অনূর্ধ্ব পাঁচ লাখ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। এছাড়া গুঁড়োদুধ, শিশুখাদ্য ও বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য বা এর ব্যবহারের সঞ্জামাদির কারণে কোন শিশু অসুস্থ হলে বা মৃত্যুবরণ করলে এই আইনের অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধে অনূর্ধ্ব ১০ বছর কারাদন্ড বা অনূর্ধ্ব ৫০ লাখ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় এবং ক্ষতিপূরণ হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুর পরিবারকে নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রদান করতে হবে।