খুলনায় বিনম্র শ্রদ্ধার মধ্য দিয়ে জাতির সূর্য সন্তানদের স্মরণ
দ. প্রতিবেদক
খুলনায় বিনম্র শ্রদ্ধার মধ্য দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করে। এসময় বিনম্র শ্রদ্ধা ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর নিহত শহীদ বুদ্ধিজীবী তথা জাতির সূর্য সন্তানদের স্মরণ করা হয়।
জেলা প্রশাসন : শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা গতকাল সোমবার সকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে তার সম্মেলনকক্ষ হতে অনলাইন জুম প্রযুক্তিতে অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, পাকিস্তানিরা বাংলাদেশের মাটি চেয়েছিলো, মানুষ নয়। যে কারণে তারা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিরস্ত্র মানুষের ওপর অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ডিসেম্বর মাসে মুক্তিবাহিনী ও মিত্র বাহিনীর যৌথ আক্রমণে পাকিস্তানিরা মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের ঠিক পূর্বে বিশ্বাসঘাতক আলবদর ও আলশামসদের মাধ্যমে তালিকা করে দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। এই অপশক্তির চক্রান্ত স্বাধীনতার পরেও চলেছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে ধর্মনিরপেক্ষ ভাবনা পরিহার করে ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার চেষ্টা চলে। পরাজিত শক্তিরা আজও বঙ্গবন্ধু ও সংবিধানের বিরুদ্ধে কথা বলে।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংবিধান প্রণেতা অ্যাডভোকেট এনায়েত আলী, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুর ইসলাম প্রমুখ বক্তৃতা করেন। আলোচনা সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
জেলা আওয়ামী লীগ : শহীদ বুুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আ’লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশিদ।
আলোচনা সভার শুরুতে সকল বুদ্ধিজীবী ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মালিক সরোয়ার উদ্দিনের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরাবতা পালন করা হয়। এর পূর্বে সকাল ৭টায় গল্লামারি স্মৃতিসৌধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বরণে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়।
জেলা আ’লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এ্যাড. ফরিদ আহমেদ এর পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এ.এফ.এম মাকসুদুর রহমান, বি.এম.এ সালাম, মোঃ সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, কামরুজ্জামান জামাল, জোবায়ের আহমেদ খান জবা, রফিকুর রহমান রিপন, এ্যাড. নব কুমার চক্রবর্তী, অধ্যাপক মিজানুর রহমান, কাজী শামীম আহসান, অধ্যক্ষ দেলোয়ারা বেগম, অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান বাবুল, জয়ন্তি রানী মন্ডল, অসিত বরণ বিশ্বাস, শেখ মোঃ আবু হানিফ, চৌধুরী মোঃ রায়হান ফরিদ, মানিকুজ্জামান অশোক, খালেদীন রশিদী সুকর্ন, মোঃ ইমদাদুল ইসলাম, হাজী খান সাইফুল ইসলাম, এবিএম কামরুজ্জামান, জামিল খান, দেব দুলাল বাড়ই বাপ্পি, মুশফিকুর রহমান সাগর, মৃনাল বিশ্বাস, মোঃ খায়রুল আলম, মোজাফ্ফার মোল্লা, পারভেজ হাওলাদার, ইমরান হোসেন, মাহফুজুর রহমান সোহাগ, বিধান চন্দ্র রায়, মোঃ রেজাউল ইসলাম রেজা, বিবেকানন্দ রায়, আল মমিন লিটন, মোঃ মারুফ হোসাইন, আরাফাত খান, কাজী নাজিব, বাধন হালদার, শেখ মোঃ রাসেল, সাইফুল ইসলাম সাইফ, প্রমুখ।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় : যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়। এ উপলক্ষে সকাল ৯-৩০ মিনিটে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে অদম্য বাংলায় শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এরপরই বিভিন্ন ডিসিপ্লিন, বিভিন্ন আবাসিক হল, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, খুবি অফিসার্স কল্যাণ পরিষদ, অফিসারদের সংগঠন চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
এছাড়া অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল ও বিশ্ববিদ্যালয় মন্দিরে প্রার্থনা, সন্ধ্যায় শহিদ মিনার ও অদম্য বাংলা চত্ত্বরে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন। এর আগে সকাল ৯ টায় শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ ভবনের সম্মুখে কালোব্যাজ ধারণ, ৯-১৫ মিনিটে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে উপাচার্যের নেতৃত্বে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের প্রাক্কালে শহিদ তাজউদ্দিন আহমদ ভবনের সামনে থেকে একটি র্যালি শুরু হয়ে অদম্য বাংলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান, প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কুয়েট : খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে পালিত হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে ১৪ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রশাসনিক ভবন, ভাইস-চ্যান্সেলরের বাসভবন এবং আবাসিক হলসমূহে জাতীয় পতাকা (অর্ধনমিত) এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দের অংশগ্রহণে শোক-র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। শোক-র্যালিতে নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন।
র্যালী শেষে সকাল সাড়ে ১১ টায় শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আলোচনা সভায় (জুম এর মাধ্যমে) প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন। ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) ড. ইসমাঈল সাইফুল্যাহ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. কে এম আজহারুল হাসান, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. পল্লব কুমার চৌধুরী, রেজিস্ট্রার জি. এম. শহিদুল আলম।
পাবলিক রিলেশনস অফিসার মনোজ কুমার মজুমদার এর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আইআইসিটি এর পরিচালক প্রফেসর ড. মহিউদ্দিন আহমাদ, আরবান এন্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ মোস্তফা সরোয়ার, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রফেসর ড. কাজী এবিএম মহীউদ্দিন, ড. এম এ রশীদ হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. সজল কুমার অধিকারী, বিশ^বিদ্যালয়ের অফিসার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সেখ আক্কাস আলী, কর্মকতা সমিতির ( আপগ্রেডেশন) সভাপতি জি এম মনিরুজ্জামান এবং কর্মচারী সমিতির (৩য় শ্রেণি) সভাপতি মোঃ মামুনুর রশীদ জুয়েল। দিবসটি পালন উপলক্ষে বাদ আসর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠান এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় নাটক (জুম এর মাধ্যমে) প্রদর্শিত হয়।
খুলনা প্রেসক্লাব : শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে গতকাল সোমবার সকালে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা সভা খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম। সভা পরিচালনা করেন ক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন। সভার শুরুতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয় এবং সভা শেষে সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও কার্যনির্বাহী সদস্য মকবুল হোসেন মিন্টু, সাবেক সভাপতি শেখ আবু হাসান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাহিদ হোসেন ও মোঃ সাহেব আলী, সাবেক সদস্য সচিব ও কার্যনির্বাহী সদস্য মোঃ মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, সহকারী সম্পাদক বিমল সাহা, সদস্য মোজাম্মেল হক হাওলাদার, মোঃ হুমায়ুন কবীর, আব্দুল মালেক, শেখ মাহমুদ হাসান সোহেল, নুর হাসান জনি ও জয়নাল ফরাজী।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মল্লিক সুধাংশু, সদস্য আলমগীর হান্নান, ওয়াহেদ-উজ-জামান বুলু, আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, দেবব্রত রায়, শেখ কামরুল আহসান, শেখ আব্দুল্লাহ, এজাজ আলী, ইউজার সদস্য শরিফুল ইসলাম বনি, এস এম বাহাউদ্দিন বাহার, মোঃ সোহেল রানা ও তুফান গাইনসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ।
এর আগে ১৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ক্লাবের নেতৃবৃন্দ গল্লমারী স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
কেইউজে : যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করেছে খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে)। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় ইউনিয়ন কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়নের সভাপতি মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ। সভা সঞ্চালনা করেন প্রচার ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নূর হাসান জনি।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, শেখ আবু হাসান, এস এম জাহিদ হোসেন, আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সাহেব আলী, মল্লিক সুধাংশু, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, বর্তমান সহ-সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবির, দপ্তর সম্পাদক জয়নাল ফরাজী, নির্বাহী সদস্য বিমল সাহা, সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক, সুনীল দাস, এস এম কামাল হোসেন, আলমগীর হান্নান, আসাদুজ্জামান রিয়াজ, বাপ্পী খান, সোহেল মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম বনি, হাসানুর রহমান তানজির, এস এম বাহাউদ্দিন, হেলাল মোল্লা, সোহেল রানা প্রমুখ।
সভার শুরুতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এর আগে দিবসের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে নগরীর গল্লামারি স্মৃতিসৌধে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। সকাল ১০টায় ইউনিয়ন কার্যালয়ে কালো ব্যাজ ধারণ করা করে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।
ওয়ার্কার্স পার্টি : যথাযথ মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার বিকেল ৫টায় দলীয় কার্যালয়ে ওয়ার্কার্স পার্টি খুলনা জেলা ও মহানগর কমিটির উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়। নেতৃবৃন্দ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন সমতাভিত্তিক অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে সর্বাগ্রে জামাত ইসলামীসহ সকল ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানান
ওয়ার্কার্স পার্টি খুলনা জেলা সভাপতি কমরেড এড. মিনা মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং মহানগর সভাপতি কমরেড শেখ মফিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনায় সভায় বক্তব্য প্রদান করেন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড দিপংকর সাহা দিপু, খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পাদক কমরেড এস এম ফারুখ-উল ইসলাম, জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কমরেড দেলোয়ার উদ্দিন দিলু, মহানগর সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কমরেড নারায়ণ সাহা, ছাত্র মৈত্রীর জেলা নেতা জগদীশ চন্দ্র মণ্ডল প্রমুখ।
স্বাচিপ : শহীদ বুদ্ধিজীবী উপলক্ষে জাতির সূর্য সন্তানদের প্রতি গল্লামারী বধ্যভূমিতে সকাল ৮টায় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ), খুলনা জেলা শাখার সভাপতি ডা. এস. এম. সামছুল আহসান মাসুম-এর নেতৃত্বে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন করা হয়।
এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন স্বাচিপ, খুলনা জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. মোল্লা হারুন অর রশিদ, দপ্তর সম্পাদক ডা. এস. এম. তুষার আলম, গ্রন্থগার ও প্রকাশনা সম্পাদক ডা. শৈলেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, স্বাচিপ, খুলনা জেলা শাখার কার্যকরী পরিষদের সিনিয়র সদস্য ডা. আনোয়ারুল আজাদ, প্রফেসর ডা. পরিতোষ কুমার চৌধুরী, খুমেকের অধ্যক্ষ, অধ্যাপক ডা. এম. এ. আহাদ, খুমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. বিধান চন্দ্র ঘোষ, খুলনা সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ, ডা. বিপ্লব বিশ্বস, ডা. পলাশ কুমার দে, ডা. বাপ্পা রাজ দত্ত, ডা. মো: রকিবুল ইসলাম, ডা. মো: ফিরোজ হাসান, ডা. মো: শহিদুল ইসলাম মুকুল, ডা. আর. কে. নাথ, ডা. সাদিয়া মনোয়ারা উষা সহ বিভিন্ন পর্যায়ের সম্মানিত চিকিৎসকবৃন্দ।
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় : দিবসটি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচীর মধ্যে সোমবার সকালে গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রহমান খান এর নেতৃত্বে শহীদ বেদীতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে পুষ্প্যমাল্য অর্পণ করা হয়।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আলাদা আলাদা ভাবে শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ডা: খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার (শাজাহান), বিশ্ববিদ্যালয় নীল দলের পক্ষ থেকে আহবায়ক ডাঃ মোঃ আশিকুল আলম ও সদস্য সচিব ড. এম এ হান্নান, কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে ভাইস চ্যান্সেলরের একান্ত সচিব মোঃ রেজাউল ইসলাম ও বিশ^বিদ্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ সাইফুল্লাহ মানছুর এবং বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকেও পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এনইউবিটি : নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেজ এন্ড টেকনোলজী খুলনায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো: শাহ আলমের সভাপতিত্বে অডিটোরিয়ামে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন, সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন প্রফেসর ড. আনোয়ারুল হক জোয়াদ্দার। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ শাখার কর্মকর্তা মো: রাশিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় বিশ্ববিদ্যালয়েল বিভিন্ন বিভাগে বিভাগীয় প্রধানগণ, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা, শিক্ষক, ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ এম জে এফ