খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ আগামী ২৫ জুলাই
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি
খবর বিজ্ঞপ্তি
আগামী ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার খুলনায় বিভাগীয় বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বিএনপি। প্রতিহিংসার মামলার রায়ে কারাবন্দী দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং দেশব্যাপী আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি, খুন-গুম-অপহরণ-নারী ও শিশু নির্যাতন-ধর্ষণ, বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু, গণধিকৃত বাজেট ঘোষণার পর থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন উর্ধ্বগতি, খাদ্যে ভেজাল রোধে ব্যর্থতা, ভ্যাট-ট্যাক্স আরোপের মাধ্যমে জনজীবনে নাভিশ্বাস সৃষ্টিকারী সরকারের পদত্যাগ দাবিতে পালিত হবে এ কর্মসূচি। সম্প্রতি বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় চলতি জুলাই মাসের মধ্যে দেশের ৮ বিভাগীয় সদরে এ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়।
তারই আলোকে গতকাল শনিবার খুলনায় মহানগর ও জেলা বিএনপির যৌথ সভা থেকে কর্মসূচির দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হয়। কেন্দ্র ঘোষিত ইস্যু ছাড়াও খুলনার কর্মসূচিতে স্থানীয় জনদূর্ভোগ হিসেবে প্রি-পেইড মিটারের দূর্নীতির বিষয়টিও স্থান পাবে। সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরহ জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সিনিয়র নেতারা বক্তব্য রাখবেন।
জনসভার স্থান হিসেবে প্রাথমিকভাবে শিববাড়ি চত্বর, শহীদ হাদিস পার্ক, সোনালী ব্যাংক চত্বর ও ডাকবাংলো মোড়কে নির্বাচিত করা হয়েছে। এসব স্থানের কথা উল্লেখ করে পুলিশ প্রশাসনের কাছে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হবে। শেষ পর্যন্ত প্রশাসন যেখানে অনুমতি দেবে, সেখানেই অনুষ্ঠিত হবে বিভাগীয় সমাবেশ।
তবে অনুমতি যেখানেই মিলুক, সমাবেশকে সর্বাত্মকভাবে সফল ও সার্থক করতে এবং বিপুল সংখ্যক দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ জনগন এবং পেশাজীবীদেরকে সম্পৃক্ত করে তদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায় স্থানীয় বিএনপি। শনিবারের সভা থেকে দলের নেতাকর্মীদের সেই নির্দেশনাই দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও থানা পর্যায়ে প্রস্ততি সভা, উঠোন বৈঠক, জনসংযোগ, প্রচারনা ও কর্মসূচির সপক্ষে প্রচারনা শুরু করতে এবং কর্মসূচির পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখতে।
খুলনা থেকেই সারা দেশের বিভাগীয় সমাবেশের কর্মসূচি শুরু হবে। ইতিপূর্বে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত এ ধরনের একাধিক কর্মসূচির সূচনা খুলনা থেকেই হয়েছে। এর মাধ্যমে খুলনা বিএনপির সাংগঠনিক ঐক্য, দৃঢ়তা ও সক্ষমতাকে মূল্যায়ন করেছে কেন্দ্র। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও খুলনা থেকে শুরু হচ্ছে বিভাগীয় সমাবেশ। এ কারণে যে কোন মূল্যে অতীতের ঐতিহ্য ধরে রাখতে বধ্য পরিকর খুলনার নেতারা।
শনিবার বেলা ১১টায় কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত যৌথ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. এস এম শফিকুল আলম মনা। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
সভা থেকে ২৫ জুলাইয়ের কর্মসূচি সফল করতে অর্থ, প্রচার, পরিবহন, যোগাযোগ, সাংগঠনিক, সাজসজ্জা, অপ্যায়ন বিষয়ক ৭টি উপ কমিটি গঠন করা হয়। সভা থেকে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে জন প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করা হয়।
সভা থেকে পাবনার ঈশ্বরদীতে একটি রাজনৈতিক প্রহসনমূলক মামলায় বিএনপির বেশ কিছু সংখ্যক নেতাকর্মীকে ফাঁসি ও যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। সভা থেকে খুলনায় ওজোপাডিকোর প্রি-পেইড মিটার স্থাপনে সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতির ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের চলমান আন্দোলনের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করা হয়।
নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির সঞ্চালনায় প্রস্ততি সভায় বক্তব্য রাখেন সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, আমীর এজাজ খান, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, সিরাজুল ইসলাম, এ্যাড. বজলুর রহমান, এ্যাড. ফজলে হালিম লিটন, স ম আব্দুর রহমান, মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আব্দুর রশিদ, এ্যাড. মোমরেজুল ইসলাম, শেখ ইকবাল হোসেন, রেহানা আক্তার, সিরাজুল হক নান্নু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, কামরুজ্জামান টুকু, আশরাফুল আলম নান্নু, শরীফ মোজাম্মেল হোসেন, ডাঃ এমএ মজিদ, আবুল খয়ের খান, মোল্লা মোশারফ হোসেন মফিজ, শেখ সাদী, মোল্লা সাইফুর রহমান, মেজবাউল আলম, বুলু চৌধুরী, খায়রুল ইসলাম খান জনি, আব্দুস সালাম, মেহেদী হাসান দীপু, এ্যাড. জোয়াদ্দার জলি, মুজিবর রহমান, মাহবুব হাসান পিয়ারু, শরিফুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।