খুলনায় পেঁয়াজের অস্থিতিশীল বাজার মনিটরিংয়ে মাঠে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
দ. প্রতিবেদক
পেঁয়াজের বাজারের চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণে নেমেছেন খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ। জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এর নির্দেশে বুধবার দিনব্যাপী মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে কয়েক দফায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।
বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে গতকাল দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রাকিবুল হাসান ও দেবাশীষ বসাক খুলনার বড়বাজারস্থ পেঁয়াজের আড়ৎসমূহ সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন। অপরদিকে বিকেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তারিফ-উল-হাসান এবং দীপা রানী সরকার খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন আড়ৎ ও খুচরা বাজারসমূহে মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান পরিচালনাকালে কোন দোকানী বা আড়ৎদার অসাধু উপায়ে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি করছে কি না; অধিক মুনাফার আশায় পেঁয়াজ মজুদ করছে কি না; অধিকমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রয় করছে কি না তা মনিটর করা হয়। এসময় কতিপয় ব্যবসায়ীকে বাজারের অস্থিতিশীলতার সুযোগ না নেওয়ার জন্য জোড়ালো নির্দেশ প্রদান করা হয়। অন্যথায় যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে সতর্ক করা হয়।
এদিকে অপর একটি মোবাইল কোর্টে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে একজন প্রতারককে হাতেনাতে আটক করা হয় যে কিনা সরকারি হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীদের অসহায়ত্বের সুযোগে তাদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায় যেখানে রোগীরা অধিক অর্থের বিনিময়েও প্রতিশ্রুত সেবা পান না। সরকারি হাসপাতাল প্রাঙ্গণে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পেইড প্রতারক চক্র প্রতিরোধের অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসন, খুলনা’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রাসেল ইসলাম নূর এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এসময় একজন প্রতারককে ১ মাসের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
এছাড়াও মোঃ তারিফ-উল-হাসান এবং দীপা রানী সরকার পরিচালিত মোবাইল কোর্টে মাস্ক পরিধান না করা ও স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের অপরাধে কতিপয় পথচারীকে জরিমানা করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সহযোগিতা করেন খুলনা সদর থানা পুলিশ, সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশ ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সদস্যগণ।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ এম জে এফ