May 6, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্ট

খুলনায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত ২

দ. প্রতিবেদক
খুলনায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে খুলনায় প্রতিপক্ষের গুলিতে দুইজন নিহত ও কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মশিয়ালীর ইস্টার্ন গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খানজাহান আলী থানার এসআই শওকাত আলী দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিনকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- নগরীর খানজাহান আলী থানার মশিয়ালী এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম শেখ (৬০) ও গোলাম রসুল শেখ (৩০)। আহতরা হলেন, সাইফুল, আফসার, শামিম, রবি, খলিল, রানাসহ ৯/১০ জন। আহতদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
একাধিক সূত্র জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার খানজাহান আলী থানা পুলিশ অস্ত্রসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। যিনি জাকারিয়া গ্রুপের সদস্য বলে জানা যায়। তাদের ধারণা প্রতিপক্ষের লোকজন পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে। যার সূত্র ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হলেও গুরুতর আহত অবস্থায় নজরুল ও রসুলকে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া আহতদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হামলার ঘটনায় নাম উঠে আসা জাকারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-প্রচার সম্পাদক এবং জাফরিন খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সহ-সভাপতি বলে জানা যায়।
অপর একটি সূত্র জানায়, মশিয়ালীতে জাফরিন, জাকারিয়া ও মিল্টন তিন ভাইয়ের একটি বাহিনী রয়েছে। তাদের সাথে এলাকার ফকির গংদের দীর্ঘদিনের শত্রুতা রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ফকির গংদের সাথে মিল্টনের মেয়েলি একটি ব্যাপার নিয়ে কথাকাটা কাটাকাটি হয়। পরে ফকির গংরা ওই তিন ভাইয়ের বাড়িতে হামলা চালাতে যায়। এসময়ে তারা তিন ভাই জাকারিয়ার নেতৃত্বে গণহারে গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলে দুইজন মারা যান।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে এলাকার ৩/৪ টা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিলে লোক জরো করে মশিয়ালীতে জাফরিন, জাকারিয়া ও মিল্টনদের বাড়িতে আগুন দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকেরা। এতে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে বলে সূত্রগুলো জানিয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র কানাই লাল সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জাকারিয়া-জাফরিন ও মিল্টন গ্রুপের গুলিতে দুই জন নিহত ও ৭/৮ জন আহত হয়। খবর পেয়ে কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলামের নেতৃত্বে সেখানে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপরতা শুরু করেছে।

দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ এম জে এফ

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *