April 20, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

খুলনায় দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে সরকারী স্থাপনা রক্ষা প্রকল্পের কাজ

ভৈরব ও রূপসা নদীর ভাঙন থেকে সরকারী
স্থাপনা রক্ষা প্রকল্পের কাজ শেষ ৯২.৫০%

জয়নাল ফরাজী
খুলনার ভৈরব ও রূপসা নদীর ভাঙন থেকে মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সরকারী স্থাপনা রক্ষা প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। এখন পর্যন্ত প্রকল্পের ৯২ দশমিক ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। চলতি বছর জুন মাসের মধ্যে সম্পূর্ণকাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৯ কোটি ৯৫ লাখ ৫১ হাজার টাকা।
পাউবো সূত্র জানায়, ভৈরবের রুজভেল্ট জেটির উত্তরে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের খুলনা অফিস, আবাসিক ভবনসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সমূহ অবস্থিত। নদী ভাঙন অব্যাহত থাকলে গুরুত্বপূর্ণ এই জেটিটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ছাড়াও মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোসহ মূল্যবাদ জমি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রূপসা নদীর ডান তীর বরাবর খুলনা বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, জেলা জজ, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের বাসভবন। নদীর প্রবাহ, জোয়ার-ভাটাজনিত কারণে সৃষ্ট স্রোত ও উক্ত এলাকা দিয়ে চলাচলকারী জলযানসমূহ হতে সৃষ্ট ঢেউ এর আঘাতে রূপসা নদীর ডানতীরে বর্ণিত এলাকায় ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে। আলোচ্য এলাকার ভাঙন রোধে পাউবো কর্তৃক স্থায়ী নদী তীর প্রতিরক্ষামূলক কাজ বাস্তবায়নের কার্যক্রম গ্রহণ না করা হলে উল্লেখিত স্থাপনাসমূহ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পাউবো সূত্র আরও জানায়, ভৈরব ও রূপসা নদীর ভাঙন থেকে খুলনা শহরের এসব গুরুত্বপূর্ণ সরকারী স্থাপনা রক্ষা শীর্ষক প্রকল্পটি সংশোধিত আকারে ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর তারিখে অনুমোদন দেয়া হয়। এতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ২৯ কোটি ৯৫ লাখ ৫১ হাজার টাকা। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে শুরু হওয়া প্রকল্পটি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এর আগে, নদী ভাঙনের কারণে ধ্বংস ও নিকটবর্তী রূপসা ও ভৈরব নদীর তীরে অবস্থিত অনেক সরকারী প্রতিষ্ঠানের বর্ণনা দিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে একটি খসড়া প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) প্রেরণ করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

এ বিষয়ে পাউবো’র (দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল) নির্বাহী প্রকৌশলী (চঃ দাঃ) পলাশ কুমার ব্যানার্জী দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিনকে জানান, ‘প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯২ দশমিক ৫০ শতাংশ। আগামী জুন মাসের পুরোপুরি কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে দুই নদীর ভাঙন থেকে সরকারী গুরুত্বপূর্ণ অফিসসমূহ রক্ষা পাবে।’

দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ এম জে এফ

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *