খুলনায় গ্রেড ও পদবী পরিবর্তনের দাবিতে রাজপথে সরকারি কর্মচারীরা
আজ বিভাগীয় কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি পেশ
দ: প্রতিবেদক
‘স্বাধীন দেশ, স্বাধীন মত, সকল দপ্তরে অভিন্ন পদ’ এ শ্লোগান নিয়ে গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় বিভাগীয় শহরে মানববন্ধনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদ নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
বাংলাদেশ সচিবালয়, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের মতো প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী ইত্যাদি পদ পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা করার দাবিতে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের বিভাগীয় কমিটির সভাপতি মো: বাশারুল হক। পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো: শহীদুল্লাহ’র পরিচালনায় এসময় বক্তৃতা করেন, মো: মিজানুর রহমান, মো: ফসিয়ার রহমান, মীর মুহা: সালমান ফারসী, শেখ মামুন আল হাসান উল্ল্যা, এসএম জাহাতাব হোসেন, জি,এম, শাহিন আলম, আল ইমরান, এ.কে.এম. হাসানুল বাহার, মো: সিদ্দিকুর রহমান, মঈনুর রহমান, শেখ সহিদুল করিম, শেখ মনিরুল ইসলাম, ফরিদ হোসেন, শিকদার রিজাউল হক, ইয়াসমিন সুলতানা, মো: রবিউল ইসলাম প্রমুখ।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেছেন, সচিবালয়ের ন্যায় অন্যান্য দপ্তরে গ্রেড ও পদবী পরিবর্তন না করে একই দেশে ভিন্ন নিয়ম করা হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে যে বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে তার অবসান দরকার। তা না হলে মাঠ পর্যায়ে কর্মরতদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হলে সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষই দায়ী থাকবে।
বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ সচিবালয়ের ভিতরে ও বাইরে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী, সহকারী ইত্যাদি পদের পদবী ও বেতন স্কেল এক ও অভিন্ন হলেও ১৯৯৫, ১৯৯৭ ও ১৯৯৯ সালে তৎকালীন সরকার প্রজ্ঞাপন দিয়ে শুধু সবিচালয়ের বর্ণিত পদগুলো আপগ্রেড করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদবি পরিবর্তনসহ জাতীয় বেতন স্কেলের ১০ নম্বর গ্রেডে উন্নীত করে। ফলে সরকারি দপ্তরগুলোর মধ্যে পদবি ও বেতন বৈষম্যের সৃষ্টি হয়। এ ধারাবাহিকতায় কিছু দপ্তরে এসব পদ আপগ্রেড করা হলেও জাতীয় বেতন স্কেলভুক্ত অন্যান্য দপ্তরের বর্ণিত পদবিগুলো এখন পর্যন্ত পূর্বাবস্থায়ই রয়েছে। তারা এ বৈষম্যের দ্রæত অবসান দাবি করেন।
একই দাবিতে আজ রোববার সকাল ১০টায় খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হবে।