খুলনায় গৃহবধূকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বামীর জবানবন্দি
দ. প্রতিবেদক
খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলী থানা এলাকায় গৃহবধূ খাদিজা আক্তার রুনু (৩৮) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবিন্দ দিয়েছেন নিহত গৃহবধূর স্বামী এনামুল হাসান আকুঞ্জি ওরফে মামুন (৪২)। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি খুলনা সিএমএম কোর্টের বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় নিজ স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
জানা গেছে, নগরীর খানজাহান আলী থানাধীন আটরা গিলাতলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের গ্যারিসন (লাল পিলার) সংলগ্ন মাত্তমডাঙ্গায় গত রবিবার খাদিজা আক্তার রুনু নামে এক গৃহবধূ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রুনুর মা আমেনা বেগম বাদী হয়ে রুনুর স্বামী এনামুল হাসান আকুঞ্জি ওরফে মামুনকে আসামি করে গত সোমবার খানজাহান আলী থানায় মামলা দায়ের করে, যার নং ১১। মামলার আসামি নিহতের স্বামী এনামুল হাসান আকুঞ্জি ওরফে মামুনকে। বুধবার গভীর রাতে যশোর জেলার অভয়নগর থানার ঘোড়াদাইড় এলাকা থেকে আটক করেছে খানজাহান আলী থানা পুলিশ ।
খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানান, কেএমপি’র ডিসি নর্থ মোল্যা জাহাঙ্গীর হোসেন এর দিকনির্দেশনায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (উত্তর) এডিসি মোঃ শাহাবুদ্দিন, সহকারী পুলিশ কমিশনার (দৌলতপুর জোন) অমিত কুমার বর্মন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লুৎফুল হায়দার অত্যাধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তার মাধ্যমে যশোর জেলার অভয়নগর থানার ঘোড়াদাইড় থেকে আটক করা হয় ।
উল্লেখ্য, মাত্তমডাঙ্গার মৃত শহীদের কন্যা খাদিজা আক্তার রুনু এর সাথে ডুমুরিয়া এলাকার মামুনের সাথে প্রায় ১২ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। তাদের কোন সন্তানাদি ছিলোনা। মাত্তমডাঙ্গা এলাকার মিরাজের বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতো। গৃহবধূ রুনু গ্রামে গ্রামে ঘুরে কাপড় বিক্রি করতেন এবং তার স্বামী মামুন সিএনজি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। রবিবার রাত ১০টায় ঘরের মেঝে থেকে রুনুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়