November 23, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

খুলনায় কলেজ শিক্ষক চিত্তরঞ্জন হত্যায় দুই আসামীর মৃত্যুদণ্ড

দ. প্রতিবেদক
খুলনা মহানগরীর শহীদ শেখ আবুল কাশেম স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক চিত্তরঞ্জন বাইন (৪৫) হত্যা মামলার দু’আসামীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. সাইফুজ্জামান হিরো এ আদেশ প্রদান করেছেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত দু’আসামী হলেন নগরীর শেরে বাংলা রোডস্থ আমতলা মোড়ের গফ্ফারের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. ইকরাম মুন্সির ছেলে রাজু মুন্সি ওরফে গালকাটা রাজু (২৪), শেরে বাংলা রোডস্থ আমতলা মাতুব্বর বাড়ির গলির মো. ইকরাম গাজীর ছেলে মো. তুহিন গাজী (২৪)। রায় ঘোষণাকালে আসামী তুহিন আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন এবং রাজু মুন্সি পলাতক রয়েছেন। এ মামলার অপর ৮ আসামীকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মুরাদ গাজী জানান, চিত্তরঞ্জন বাইন শহীদ শেখ আবুল কাশেম স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। তিনি খুলনা থানাধীন ৫৯ শেরেবাংলা রোডস্থ আমতলা মোড়ে স্বপরিবারে বসবাস করতেন। ২০১৭ সালের ৬ জানুয়ারি সকাল ১১টায় চিত্তরঞ্জনের স্ত্রী লাকী গোলদার তার দুই মেয়েকে সাথে নিয়ে বটিয়াঘাটায় পিত্রালয়ে যান। প্রতিদিনের ন্যায় পিটিআই মোড়স্থ নিজ নামীয় (চিত্ত স্যারের ব্যাচ) শেষ করে তিনি রাত সাড়ে ১০টায় আমতলা মোড়স্থ বাসায় ফেরেন। ১৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১৫ জানুয়ারি সকাল সোয়া ১১টার মধ্যে যেকোন সময়ে ডাকাতির উদ্যেশ্যে ওই বাসার জানালার গ্রিল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে আসামীরা। এরপর তাকে হত্যা করে হাত পা মুখ বাধা অবস্থায় তার লাশটি খাটের উপর ফেলে রাখে। ওই সময় ঘরে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ অন্যান্য মালামাল (যার মূল্য দুই লাখ টাকা) লুণ্ঠন করে নিয়ে যায় আসামীরা। এ ঘটনায় নিহতের ভাই সুবোল বাইন বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন যার নং- ১৩। ২০১৭ সালের ১২ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কামাল উদ্দিন ১১জনের বিরুদ্ধে আদালতে চাজশীট দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন সময়ে মিস্ত্রিপাড়া খালপাড় রোডস্থ শাহাজাহান এর বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. সুলতান শেখের ছেলে মো. মানিক শেখ (২৩) মারা যায়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আরিফ মাহমুদ লিটন। আসামী পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খান মো. লিয়াকত আলী, অ্যাডভোকেট শফিউল আলম সুজন ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামসহ অনেকে।

দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ এম জে এফ

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *