November 29, 2024
আঞ্চলিকবিজ্ঞপ্তিলেটেস্ট

খুলনায় ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের সেমিনার অনুষ্ঠিত

তথ্য বিবরণী
ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় খুলনা জেলা পর্যায়ের সেমিনার মঙ্গলবার সকালে গল্লামারীস্থ মৎস্য বীজ উন্নয়ন খামার সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, অতীতে এদেশের নদী-খালে প্রাকৃতিকভাবে প্রচুর মাছ পাওয়া যেতে। এখন নদীতে তেমন মাছ পাওয়া যায় না। জলাভূমি দূষণ, দখল ও নির্বিচারে মাছ ধরে আমরা সে পরিস্থিতি নষ্ট করেছি। এমন কি নিজেদের স্বার্থে আমরা সুন্দরবনের বনজ ও মৎস্য সম্পদ ধ্বংস করে যাচ্ছি। দেশে ইলিশ মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ইলিশের ডিম ছাড়ার মৌসুমে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকে। সেই সময় সরকার জেলেদের খাদ্য সহায়তা দেয়। ইলিশরক্ষায় সরকারের নির্দেশনা মেনে চললে দেশে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
সেমিনারে জানানো হয়, দেশের জিডিপিতে ইলিশের অবদান এক শতাংশের বেশি। বিশে^ মোট আহরিত ইলিশের ৮০ শতাংশের বেশি বাংলাদেশে পাওয়া যায়, যার পরিমাণ বছরে সাড়ে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন। ইলিশ আহরণের সাথে দেশের পাঁচ লাখ মানুষ সরাসরি এবং ২০ লাখের বেশি মানুষ পরোক্ষভাবে জড়িত। ইলিশের উৎপাদন ২০২৫ সাল নাগাদ ১৬ শতাংশ বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিয়ে সরকার দুইশত ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের ২৯ জেলার একশত ৩৪টি উপকূলীয় উপজেলায় ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এর আওতায় খুলনার বটিয়াঘাটা, দিঘলিয়া, রূপসা, তেরখাদা ও দাকোপ উপজেলায় মোট ৪৫০ জন মৎস্যজীবীকে প্রশিক্ষণ ও ৭৫০ মৎস্যজীবীকে বিকল্প কর্মসংস্থানের উপকরণ প্রদান করা হবে। এছাড়া ৪০টি সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক সভা ও ইলিশ রক্ষায় ৬২০টি অভিযান পরিচালনা করা হবে।
খুলনার জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক মোঃ জিয়া হায়দার চৌধুরী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক মোঃ মাহবুবুর রহমান। এসময় মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আব্দুদ দাইয়ান, মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের সাবেক উপপরিচালক প্রফুল্ল কুমার সরকার, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল প্রমুখ বক্তৃতা করেন। সেমিনারে জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড কর্মকর্তা, মৎস্যজীবী, ট্রলার মালিক, মৎস্য ব্যবসায়ী ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *