খুলনায় আরও ৭৩ জনের করোনা শনাক্ত, উপসর্গে দু’জনের মৃত্যু
দ. প্রতিবেদক
খুলনা মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবে নতুন করে ৭৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে ৭১ জনই খুলনা জেলা ও মহানগরীর। বাকিরা বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার। এছাড়া করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খুলনায় আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার রাতে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিনকে জানান, শনিবার খুমেকের আরটি-পিসিআর মেশিনে মোট ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে খুলনার নমুনা ছিলো ১৬০টি। এদের মধ্যে মোট ৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। যার ৭১ জন খুলনা জেলা ও মহানগরীর। এছাড়াও বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার একজন করে রয়েছেন।
খুলনা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত খুলনায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪৩৫ জন। এদের মধ্যে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৪৮ জন।
এদিকে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে কামরুল ইসলাম (৭০) ও খাদিজা বেগম (৫৫) নামে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিকালে ও গত শুক্রবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে তাদের মৃত্যু হয়।
খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সি রেজা সেকান্দার দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিনকে জানান, জ্বর কাশি শ্বাসকষ্টর সমস্যা নিয়ে শনিবার বিকালে আড়ংঘাটার গাইকুড় এলাকার মৃত হাবিবুর ইসলামের ছেলে কামরুল ইসলামকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার পরিবার তরিঘরি করে লাশ নিয়ে যাওয়ায় মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা যায়নি।
এরআগে শুক্রবার রাত ৯টা ১৫ মিনিটে জ্বর শাসকষ্ট সমস্যা নিয়ে সোনাডাঙ্গা থানাধীন বয়রা এলাকার জলিল হোসেনের স্ত্রী খাদিজা বেগমকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টায় তিনি মারা যান। তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।