November 26, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

খুলনার স্বাস্থ্যখাতে ২১১ জন আউটসোর্সিং কর্মচারীকে চাকরিহারা করার অভিযোগ

আউটসোসিং কর্মচারীদের সংবাদ সম্মেলন

দ. প্রতিবেদক
দেড় বছর আউটসোর্সিংয়ের চাকরি করে খুলনার ২১১জন আউটসোর্সিং কর্মচারীকে চাকুরিহারা করার অভিযোগ উঠেছে। নতুন ঠিকাদারের আওতায় চাকরি করতে গেলে তাদেরকে গুনতে হবে মোটা অংকের অর্থ। এমনিতেই বিগত ছয়মাস ধরে বেতন না পেয়ে তাদেরকে ধার দেনা করে চলতে হচ্ছে। এর মধ্যে আবার নতুন ঠিকাদারকে অর্থ দিয়ে চাকরি টিকিয়ে রাখতে হলে অনেকের পক্ষেই তা সম্ভব নয়। এজন্য তারা প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, খুলনার মেয়র ও অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালসহ সিভিল সার্জনের আওতাধীন বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত ২১১ জন কর্মচারীকে চাকরিহারা করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ অভিযোগ করা হয়। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আউটসোর্সিং কর্মচারী মো: হাসিবুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৯ সালের মে মাস থেকে ২১১ জন কর্মচারী নিয়োগ পায়। মেসার্স তাকবীর এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তারা চাকরিতে যোগদান করলেও প্রায় ১৩ মাস পর এ বছরের জুলাই মাসে এসে তারা বেতন পান। কিন্তু এর পর থেকেই আবারো বেতন বন্ধ থাকে। এরই মধ্যে ঠিকাদার পরিবর্তনের গুঞ্জন শোনা যায়। বর্তমান সিভিল সার্জন তাদেরকে জানিয়ে দেন যে, ‘তোমাদের চাকরী নেই’। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাদেরকে স্ব স্ব কর্মস্থলে থেকে দায়িত্ব পালনের জন্য বলা হয়। এমনকি সিভিল সার্জন একদিকে তাদের চাকরি নেই বললেও তিনি নিজেও তাদের অর্থাৎ আউটসোর্সিং কর্মচারীদের সেবা নিয়ে থাকেন। বিশেষ করে বৈশি^ক মহামারী করোনাকালীন সময়ে তারাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করেন। অথচ সরকারি কর্মচারীরা নিয়মিত বেতন পেলেও তারা বেতন বঞ্চিত হয়ে আসছেন। তার পরেও প্রথম বারের মত আবারো তারা একসাথে বেতন পাবেন এই আশায় ধার-দেনা করে চলতে থাকেন। কিন্তু দিন যতই যাচ্ছে ততোই তাদের চাকরীহারা হওয়ার আশংকা বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে গত কয়েকদিন আগে তারা জানতে পারেন যে, মেসার্স তাকবীর এন্টারপ্রাইজকে বাদ দিয়ে নতুন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ এম জে এফ

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *