খুলনার চার হাসপাতালে আরও ১৩ জনের মৃত্যু
দ. প্রতিবেদক
খুলনার চারটি হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১০ জন এবং উপসর্গ নিয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে ৭ জন, শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একজন, জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দু’জন এবং গাজী মেডিকেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডাঃ সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় ৪ জন ও উপসর্গ নিয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় মৃতরা হলেন খুলনার বটিয়াঘাটার আশিষ গোলদার (৫৫), পাইকগাছার ইউসুফ আলী (৬০), নগরীর শিরোমণি এলাকার আঃ মালেক (৭৫) এবং সাতক্ষীলার তালার ইসমাঈল হোসেন (৬১)। এছাড়া উপসর্গে তিনজনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২০১ জন। যার মধ্যে রেড জোনে ১৩৪ জন, ইয়ালো জোনে ২৭ জন, আইসিইউতে ২০ জন এবং এইচডিইউতে ২০জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন ২৮ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ৩৩ জন।
শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডাঃ প্রকাশ দেবনাথ জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নড়াইলের ইকবাল হোসেন (৫৮) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া করোনা ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন ৪৫ জন। তার মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ১০ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন ৫ জন আর সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ৪ জন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডাঃ কাজী আবু রাশেদ জানান, হাসপাতালে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন- খুলনার রূপসার জলিল মীর (৬৫) ও যশোরের অভয়নগরের নিত্যানন্দ সরকার (৭৮)। এছাড়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬০ জন, তার মধ্যে ২৬ জন পুরুষ ও ৩৪ জন মহিলা। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন ৮ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৪ জন।
গাজী মেডিকেল হাসপাতালের স্বত্তাধিকারী ডাঃ গাজী মিজানুর রহমান জানান, হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন- নগরীর সোনাডাঙ্গার মোহাম্মদ নগরের কাজী আব্দুল সাত্তার (৭৭), মিয়াপাড়া মেইন রোডের চাদ সুলতানা (৭১) ও ফারাজীপাড়ার নাসিমা খাতুন (৪৭)। হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো ১০৮ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৮ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২১ জন।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়