খুলনায় ট্রিপল মার্ডারের ১৭ দিন পর মশিয়ালী থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
দ. প্রতিবেদক : খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলী থানাধীন মশিয়ালীর ট্রিপল মার্ডারের ১৭ দিন পর আসামি শেখ জাফরিনের স্বীকারোক্তি মোতাবেক অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ।
আজ রবিবার রাত সাড়ে ৮টায় মশিয়ালীর শেখ বাড়ীর কবরস্থান ও সরদার বাড়ীর পেছন থেকে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) কানাই লাল সরকার দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, খুলনা মহানগর ডিবি পুলিশের একটি টিম আজ রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতারকৃত অন্যতম আসামি শেখ জাফরিন হাসানের স্বীকারোক্তি মোতাবেক খানজাহান আলী থানাধীন মশিয়ালী গ্রামস্থ শেখ বাড়ীর কবরস্থানে ৩ রাউন্ড ফায়ার্ড কার্তুজ এবং সরদার বাড়ীর পিছনে পশ্চিম দিকে রেইনট্রি গাছ সংলগ্ন ডোবায় ১টি প্লাষ্টিকের বাজার করার ব্যাগের মধ্যে থেকে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ২টি দেশীয় তেরী ওয়ান স্যুটার গান, ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই (বৃহস্পতিবার) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মুজিবর নামে এক ব্যক্তিকে অস্ত্রসহ খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সহ-প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া এবং তার ভাই খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি জাফরিন ও মিল্টন পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয়। মুজিবরের গ্রেফতার নিয়ে মূল উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এরপর গ্রামের বেশ কয়েকজন জাকারিয়ার বাড়িতে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে যায়। এসময় জাকারিয়া ও তার লোকজনের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে জাকারিয়া, জাফরিন ও মিল্টন তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। এ সময় গুলিতে নজরুল ইসলাম, গোলাম রসুল, সাইফুল ইসলাম, শামীম, রবি, সুজন, রানা ও খলিলসহ ৮-১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নজরুল ইসলাম ও গোলাম রসুলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ১টার দিকে সাইফুল ইসলাম মারা যায়। এ ঘটনার পর রাত ২টার দিকে বিক্ষুব্ধ অপরপক্ষের গণপিটুনিতে জাকারিয়ার সহযোগী জাহিদ শেখ (৩০) মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহত সাইফুলের পিতা বাদী হয়ে খানজাহান আলী থানায় মামলা দায়ের করেন। যার নং-১২ তারিখ-১৮/০৭/২০২০ খ্রিঃ, ধারাঃ ১৪৭/১৪৮/১৪৯/ ৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩০২/৩৪ পেনাল কোড।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ এম জে এফ