খুবির ২ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশে ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিবাদ, অনশনে নুরের সমর্থন
খুবি প্রতিনিধি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) দুইজন শিক্ষকের সাথে অসদাচারণ ও তদন্তে অসহযোগিতার দায়ে অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী তাদের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে আমরণ কর্মসূচি শুরু করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগকে উপেক্ষা করে সাজা কার্যকর হওয়ার আগেই তারা এই কর্মসূচি শুরু করেছে।
অন্যদিকে, বুধবার এ বহিষ্কারাদেশ অগণতান্ত্রিক ও অন্যায় উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিশু সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি নেতৃবৃন্দ বলেন, অনশনরত শিক্ষার্থীদের কিছু হলে ছাত্ররা কিছুতেই প্রশাসনকে ছাড় দিবে না এবং সে দায়ভার প্রশাসনকেই নিতে হবে। পাশাপাশি ৩ জন শিক্ষক সেই আন্দোলনে একাত্মতা পোষণ করায় তাদেরকে অপসারণের সিদ্ধান্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যাতে শিক্ষকদের মর্যাহানি হয়েছে। এভাবে শিক্ষকদের মর্যাদাহানি করা হলে ভবিষ্যত প্রজন্ম অন্যায়ের প্রতিবাদ করা এবং ও নৈতিকতার শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে বলে আমরা মনে করি।
শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কন্ঠরোধের এই ঘৃণ্য প্রচেষ্টা থেকে প্রশাসনকে সরে আসারও আহব্বান জানান তারা। অন্যথায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে রাজপথে নামার হুঁশিয়ারী দেন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক সামাজিক যোগাযোগমাধ্য ফেসবুকে লিখেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অগণতান্ত্রিক ও স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তে ৩ শিক্ষককে অপসারণ ও ২ ছাত্রের বহিষ্কারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একজন ছাত্র ও ছাত্রনেতা হিসেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের পাশে আছি।
অন্যদিকে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ইস্যুতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার না করতে আহবান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে খুলনা মহানগর ও জেলা শাখা ছাত্রলীগ। নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশের একমাত্র রাজনীতি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। সেকারনেই ছাত্রলীগ কখনোই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিষয়ে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করে না। কিন্তু খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের অনেক ত্যাগের ফসল। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করলে ছাত্রলীগ থেমে থাকবে না।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন / এম জে এফ