May 19, 2024
আঞ্চলিক

কয়রায় সমিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তি

কয়রা প্রতিনিধি

কয়রায় সমিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে সাধারন মানুষ ও কাঠ ব্যবসায়ীরা। জানা গেছে, সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী কয়রা, বাগালী, আমাদী ও মহারাজপুর ইউনিয়নে ৩০টি সমিল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

যার ফলে এলাকার সাধারণ মানুষ, কাঠ ব্যবসায়ী, সমিল মালিক ও মিলে কর্মরত শ্রমিকরা ভোগান্তিসহ মানবেতর জীবনযাপন করছে। মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সাধারন মানুষ কাঠ চেরাই করতে না পারায়  বাড়ি ঘর, আসবাবপত্র তৈরী করতে পারছে না। ব্যবসায়ীরা হাত-পা গুটিয়ে বসে আছে।

কাঠ ব্যবসায়ী মহাসিন রেজা বলেন, ব্যাংক হতে সিসি লোন নিয়েছি ৩ লাখ টাকা আর এনজিও থেকে ২ লাখ টাকা লোন নিয়ে লক কাটের  ব্যবসা করছিলাম। সমিল বন্ধ থাকায় বেচা কেনাও বন্ধ হয়ে গেছে। মাঠ পর্যায়ে ৪ লাখ টাকা বকেয়া যা আদায় হচ্ছে না।

কাঠ ব্যবসায়ী অজিয়ার গাজী, সেরাজুল ইসলাম এর একই অভিযোগ তারাও সমিতি থেকে ঋন নিয়ে যশোহর, সাতক্ষীরার মালিকদের নিকই থেকে লক কাঠ ক্রয় করে ব্যবসা চালু রেখেছিলাম কিন্তু মিল বন্ধ থাকায় কোন বেচা নাই, মালিক মহাজনের টাকা পরিশোধ করতে পারছিনা এবং কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে পারছিনা।

সমিল মালিক ফতেআলী মোড়ল (৬৩) বলেন, এনজিও থেকে লোন নিয়ে সমিল চালু করেছিলাম। যার উপরে নির্ভরশীল আমার  পরিবারের ১০ জন মানুষ। আমার কোন জায়গা-জমি নাই সমিলের উপরই চলতো আমার সংসার। সমিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রতি মাসে এনজিওদের ২১ হাজার টাকা কিস্তির টাকা  দিতে পারছি না।

সমিলের শ্রমিক সুনীল সরকার বলেন, মিলে কাজ করে প্রতিদিন ৫ শ” টাকা পেতাম  যা দিয়ে আমার ৬ জনের সংসার ভালো ভাবে চলতো এখন মিল গুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ায পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টের মধ্যে আছি।

সমিলের মিস্ত্রি হাবিবুল্লাহ বলেন, মিলগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। সরকার পুর্নরায় মিলগুলি চালু করলে আমরা দু-বেলা দু মুটো খেয়ে বেচে থাকার সুযোগ টুকু পাবো।

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *