April 26, 2024
জাতীয়

ক্রাইস্টচার্চেই আব্দুস সামাদের দাফন

 

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ড. আব্দুস সামাদের দাফন সে দেশেই হয়েছে। সামাদের বড় ছেলে তোহা মোহাম্মদ জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের পর দাফন করা হয়।

গত শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চ শহরের মসজিদে নূর ও লিনউড মসজিদে জুমার নামাজের সময় বন্দুকধারী এক সন্ত্রাসীর গুলিতে ৫০ জন নিহত হন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক আবদুস সামাদ তাদেরই একজন। সামাদ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক। জিল্যান্ডের লিংকন ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনা করছিলেন তিনি। প্রথমে লাশ দেশে আনার কথা ভাবলেও পরিবার পরে তাকে নিউ জিল্যান্ডেই দাফনের সিদ্ধান্ত নেয়।

সামাদের ছেলে তোহা বলেন, শুক্রবার জুমার নামাজের পর বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মুসলমানদের জন্য নির্ধারিত কবরস্থানে সামাদসহ অন্যদের লাশ দাফন করা হয়। দাফনের সময় সেখানে বসবাসরত মা কেশোয়ারা সুলতানা ও ছোট দুই ভাই তারেক ও তানভির ছিল।

তোহা বলেন, এর আগে সে দেশের পুলিশ কোনো প্রকার ছবি ওঠানো ও ভিডিও না করার শর্তে দুই ঘণ্টার জন্য পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে। সেখানে গোসল ও দোয়া শেষে লাশ আবার জিম্মায় নেয় পুলিশ।

উগ্র ডানপন্থি সন্ত্রাসী বন্দুকধারীর গুলিতে নিহতদের স্মরণে শুক্রবার দুপুরে দুই মিনিটের জন্য নীরব ছিল পুরো নিউ জিল্যান্ড। ঠিক তার আগে নিউ জিল্যান্ডে বসবাসরত মুসলমানদের প্রতি সংহতি জানাতে সকল প্রচারমাধ্যমে প্রচার করা হয় জোহরের আজান।

গত ১৫ মার্চ ওই হামলার ঘটনার পর থেকে প্রতিদিনই সব ধর্মের নানা বয়সী মানুষ ফুল হাতে ওই মসজিদের বাইরে আসছিল সংহতি জানাতে। মাওরি আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী রণনৃত্য হাকা পরিবেশন করে শ্রদ্ধা আর সংহতি জানাচ্ছিল শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার জুমার নামাজের আগে মসজিদের ভেতরে বাইরে সমবেত নিউ জিল্যান্ডবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে ইমাম জামাল ফাউদা বললেন, ধন্যবাদ তোমাদের হাকার জন্য, ধন্যবাদ ফুলের জন্য। নিউ জিল্যান্ডকে ভেঙে ফেলা যাবে না। আমাদের হৃদয় ভেঙেছে, কিন্তু আমরা ভেঙে পড়ব না।

আর নামাজে আসা মুসলমানদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অ’ডুর্ন বললেন, তোমাদের সঙ্গে আজ পুরো নিউ জিল্যান্ড কাঁদছে। আমরা সবাই আজ এক।

 

 

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *