কোরবানির ঈদ পর্যন্ত সীমান্ত পথে গরু ঢোকা বন্ধ
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
কোরবানির ঈদে সম্ভাব্য চাহিদার চেয়ে বেশি গবাদি পশু দেশে রয়েছে বলে ব্যবসায়ী ও খামারিদের স্বার্থে এই সময় ভারত থেকে গরু আনা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরুর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১২ আগস্ট কোরবানির ঈদ হতে পারে। এবার ঈদে এক কোটি ১০ লাখ পশু কোরবানি হতে পারে ধরে নিয়ে মন্ত্রণালয় বলছে, দেশে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা এর থেকেও আট লাখ বেশি রয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এবার সারা দেশে কোরবানিযোগ্য ৪৫ লাখ ৮২ হাজার গরু-মহিষ, ৭২ লাখ ছাগল-ভেড়া এবং ৬ হাজার ৫৬৩টি অন্যান্য পশুর প্রাপ্যতা নিশ্চিত করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। আসন্ন ঈদুল আজহায় ১ কোটি ১০ লাখ পশু কোরবানি হতে পারে। গত বছর ঈদে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৫ লাখ এবং কোরবানি হয়েছিল ১ কোটি ৫ লাখের মতো।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সারাদেশে কোরবানিযোগ্য প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ গবাদিপশুর মজুদের পাশাপাশি কোরবানির হাট-বাজারে স্বাস্থ্যসম্মত পশুর সরবরাহ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের যাবতীয় উদ্যোগ নিয়েছে। দেশের পশু বিক্রেতাদের স্বার্থে ঈদুল আজহা পর্যন্ত সীমান্ত পথে বৈধ-অবৈধ সকল প্রকার গবাদির অনুপ্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশ মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পর থেকে ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশ উলেখযোগ্যহারে কমে গেছে। আগে প্রতিবছর ২৪-২৫ লাখ ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশ ঘটলেও ২০১৮ সালে মাত্র ৯২ হাজার গরু বাংলাদেশে ঢুকেছে।
কোরবানির পশুর সংখ্যা নিরূপণ, কোরবানির হাটে স্বাস্থ্যসম্মত পশু কেনা-বেচা ও স্বাস্থ্যসেবা, বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, পশুর গাড়ি ছিনতাইরোধে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী, কোরবানির ঈদে ঢাকাসহ দেশের উলেখযোগ্য হাটবাজারে পশুর স্বাস্থ্যসেবার লক্ষ্যে ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম থাকবে। ঢাকায় দুই সিটি কর্পোরেশনের আওতায় ২৪টি স্থায়ী-অস্থায়ী কোরবানির হাটবাজারে ২টি করে ভেটেরিনারি টিম কাজ করবে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় ১৪টি এবং উত্তরের অধীনে ১০টি হাটবাজার বসবে।