কোভিড: গত বছরের ১২ এপ্রিলের পর সর্বনিম্ন সনাক্ত
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
গতকাল শনিবার সকাল থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৫১ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, যা গত ১৯ মাসে সর্বনি¤œ। একদিনে এর চেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত বছরের ১২ এপ্রিল। বাংলাদেশে মহামারীর প্রাদুর্ভাব শুরুর পরের মাসটির ওই দিনটিতে ১৩৯ জন রোগীর মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। গত একদিনে শনাক্ত ১৫১ জনকে নিয়ে দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৭২ হাজার ২৭৮। এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে হয়েছে ছয়জনের। তাদের নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৯১৮।
সরকারি হিসাবে ২৪ ঘণ্টায় সেরে উঠেছে ১৯২ জন কোভিড রোগী। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠলেন ১৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩০৩ জন। এই হিসাবে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এখন ৮ হাজার ৫৭। অর্থাৎ ১৭ কোটি মানুষের এই দেশে জানা হিসাবে এই সংখ্যক মান্ষু এই মুহূর্তে ভাইরাসটি বহন করছে। অথচ করোনাভাইরাসের ডেল্টা সংক্রমণে তিন মাস আগেও এই সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছিল।
বাংলাদেশে মহামারীর প্রাদুর্ভাব গত মার্চের ৮ মার্চে ঘটার ১০ দিন পর প্রথম মৃত্যু ঘটলেও সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা গিয়েছিল এই বছরের জুলাই-অগাস্টে, ডেল্টার সংক্রমণের কারণে। গত ৫ ও ১০ অগাস্ট দুই দিনেই ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা। আর ২৮ জুলাই এক দিনে সর্বাধিক ১৬ হাজার ২৩০ জন রোগী শনাক্ত হয়। সেপ্টেম্বর থেকে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা কমে আসতে থাকে। অক্টোবরের মাঝামাঝিতে দৈনিক সংক্রমণ পাঁচশর নিচে নেমে আসে। নভেম্বরে তা আরও কমে এসেছে।
গত ৩০ অক্টোবর ১৬৬ রোগী শনাক্ত হয়েছিল, তারপর ৬ নভেম্বর তা ১৫৪ জনে নেমে আসে। এরপর আর তা এখনও আড়াইশর উপর ওঠেনি। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ছিল ১ দশমিক ১১ শতাংশ, যা আগের দিন ১ দশমিক ২৮ শতাংশ ছিল। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ। শনাক্ত অনুযায়ী মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে মোট ১৩ হাজার ৫৬৯টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ৫ লাখ ৭৬ হাজার ২৭৩টি নমুনা। গত একদিনে যারা আক্রান্ত হয়েছে তাদের মধ্যে ১০১ জনই ঢাকা বিভাগের, যা মোট সংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ। দেশের ৪৫টি জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৬ জনের মধ্যে ৩ জন ঢাকা বিভাগের, ১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১ জন রাজশাহী বিভাগের এবং ১ জন খুলনা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। বাকি চার বিভাগে কারও মৃত্যু হয়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ এবং ২ জন নারী। তাদের মধ্যে ৩ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। ১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর এবং ১ জনের বয়স ছিল ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।
তাদের ৫ জন সরকারি হাসপাতালে এবং ১ জন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।