May 20, 2024
জাতীয়

কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের উপ-পরিচালকসহ ২ জনের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে

করোনাকালে এন৯৫ মাস্ক ও পিপিইসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী কেনায় দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের উপ-পরিচালক ও পিঅ্যান্ডসি ডা. মো. জাকির হোসেন এবং সিনিয়র স্টোর কিপার মো. ইউসুফ ফকিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (২০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আসার কিছুক্ষণ পর জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়৷

দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি দল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।

দলের অন্য সদস্যরা হলেন দুদকের উপ-পরিচালক নুরুল হুদা, সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান ও আতাউর রহমান।

সোমবার আরো জিজ্ঞাসবাদ করার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের সাবেক মেডিকেল অফিসার (চিফ কো-অর্ডিনেটর) ডা. জিয়াউল হককে৷ তিনি এখনো দুদকের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হননি৷

কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের সাবেক-বর্তমান মোট ছয় কর্মকর্তার মধ্যে বাকি তিনজনকে রোববার (১৯ জুলাই) জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷ রোববার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. শাহজাহান, সাবেক ডেস্ক অফিসার-৮ ও অতিরিক্ত দায়িত্ব (স্টোর) ডা. সাব্বির আহম্মেদ এবং স্টোর অফিসার কবির আহম্মেদকে৷

এর আগে গত ১২ জুলাই দুদকের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর স্বাক্ষরে এক তলবি নোটিশের মাধ্যমে এসব কর্মকর্তাকে তলব করা হয়।

তলবি নোটিশে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার জন্য নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি কেনা ও বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে অন্যান্যদের যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে  অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য তাদের বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *