কুড়িগ্রামে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, তলিয়ে যাচ্ছে বাড়িঘর
কুড়িগ্রামে উজানের ঢল আর বর্ষণে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার নদ-নদী অববাহিকার নীচু-চরাঞ্চলগুলোতে গ্রামীণ কাঁচা-পাকা সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে থাকায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। বন্যার পানিতে প্লাবিত এলাকাগুলোতে নৌকা বা কলাগাছের ভেলাই মানুষের যোগাযোগের একমাত্র ভরসা। অনেক স্থানে তলিয়ে গেছে টিউবওয়েল।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকালে দুধকুমার নদের পানি বিপদসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার এবং ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ২১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
পাঁচগাছী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন বলেন, অনেকটা আকস্মিকভাবেই পানি বাড়ার কারণে বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। বন্যার পানিতে প্লাবিত এলাকার মানুষগুলো উঁচু স্থানে বা নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ভাবতেও পারিনি একরাতেই এতো পানি বাড়বে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি ৩-৪ দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর পানি নেমে যাবে। নাগেশ্বরী উপজেলায় একটি সড়ক সংস্কারের কাজ করেছে পাউবো। সড়কটির দুটি অংশ প্লাবিত হয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাঈদুল আরীফ বলেন, ইতিমধ্যেই কুড়িগ্রাম সদর, চিলমারী, উলিপুর, নাগেশ্বরী, রাজারহাট ও ভুরুঙ্গামারীসহ বন্যায় যেসব এলাকা প্লাবিত হয়েছে এসব এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ৬৫ মেট্রিক টন চাল উপজেলাগুলোতে উপ-বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া আমাদের কাছে ৫৮৫ মেট্রিক টন চাল, ১০ লাখ টাকা ও ১হাজার ৭০০ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে। আমরা বন্যার্তদের তালিকা করছি, তালিকা পেলে বরাদ্দ দেওয়া হবে।
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি