May 17, 2024
জাতীয়

করোনা পরিস্থিতিতে শিশুদের সুরক্ষার আহ্বান: রাবাব ফাতিমা

 প্রাণঘাতী মহামারি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) থেকে শিশুদের সুরক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

তিনি বলেন, ন্যায়সঙ্গত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশবান্ধব সমাজ বিনির্মাণে সদস্য দেশের সরকারসমূহকে সহায়তা করতে অবশ্যই ইউনিসেফকে তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। আর এই প্রচেষ্টাসমূহে উদ্ভাবন, দক্ষতা ও অর্থের মূল্যটাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।

ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ডের চার দিনব্যাপী বার্ষিক অধিবেশনের শেষ দিনে বোর্ড সভাপতি হিসেবে সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শনিবার (৪ জুলাই) জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিশ্বব্যাপী ইউনিসেফের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো এগোতে কৌশলগত দিক-নির্দেশনা ও সহযোগিতামূলক ছয়টি সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে এই সমপানী অধিবেশনে গৃহীত হয়।

এতে এসডিজি বাস্তবায়ন প্রচেষ্টায় সদস্যদেশগুলোকে সহায়তা করার গুরুত্ব উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

এক্ষেত্রে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী শিশুদের রক্ষার যে ম্যান্ডেট ইউনিসেফের রয়েছে তা বাস্তবায়নে প্রতিষ্ঠানটিকে অব্যাহতভাবে আর্থিক সহায়তা দিতে এটি অত্যন্ত প্রয়োজন। সঙ্কটপ্রবণ দেশগুলোতে নারী, কিশোর-কিশোরীদের লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতারোধে সেবা ও সহায়তাদানের ক্ষেত্রে ইউনিসেফ গৃহীত প্রচেষ্টাসমূহের প্রশংসা করেন তিনি।

এছাড়া মানবিক ও উন্নয়ন কর্মসূচিসমূহের সমন্বয় সাধনের জন্য ইউনিসেফের দীর্ঘমেয়াদি তহবিলের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন ওই বোর্ড সভাপতি।

করোনার কারণে শিশু এবং তাদের পরিবারগুলো বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

এক্ষেত্রে সামাজিক সুরক্ষা বেষ্টনী শক্তিশালী ও প্রসারিত করার লক্ষ্যে সরকারসমূহের প্রচেষ্টায় ইউনিসেফ যে সহযোগিতা করে যাচ্ছে তার প্রশংসা করেন তিনি।

পরামর্শমূলক প্রক্রিয়া ও কার্যকর সমন্বয়ের মাধ্যমে জাতীয় সরকারগুলোর কাজে আরও পরিপূরক ভূমিকা রাখতে ও সহায়তায় এগিয়ে আসতে ইউনিসেফকে আহ্বান জানান বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।

রাবাব ফাতিমা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারিকালে শিশুদের সাধারণ টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রাখা, নিরাপদভাবে স্কুলসমূহ পুনরায় চালু করা, শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধা ও সংযোগ নিশ্চিত করা, নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন নিশ্চিত করা, উন্নত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং শিশুদের মনো-সামাজিক উন্নয়নের জন্য কর্মসূচি তৈরি করা হচ্ছে ইউনিসেফের এ সময়ের অগ্রাধিকার।

সমাপনী অধিবেশনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফ গ্লোবাল স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান নোমা ওয়েন্স-ইবি এবং ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিটা এইচ ফোর।

ইভেন্টটিতে ইউনিসেফ স্টাফ টিম অ্যাওয়ার্ডস-২০১৯ বিজয়ী পাঁচটি দলের কর্মকাণ্ড তুলে ধরে একটি ভিডিও প্রদর্শিত হয়।

ইউনিসেফের কর্মীবাহিনীকে সংগঠনটির মেরুদণ্ড হিসেবে উল্লেখ করে হেনরিটা নোমা ফোর বলেন, বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ সংকট মোকাবিলায় বিভিন্ন সম্প্রদায়, শিশু ও যুবদের সহযোগিতা দেওয়ার ক্ষেত্রে ইউনিসেফসহ জাতিসংঘের বিভিন্ন এজেন্সির মধ্যে কার্যকর আন্তঃসম্পর্কীয় সহযোগিতা ও সমন্বয়ের কোনো বিকল্প নেই।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *