করোনা নিয়ে আতঙ্ক না ছড়িয়ে সতর্ক থাকতে হবে : ওবায়দুল
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক না ছড়িয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এই ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে রাজনীতি করার কিছু নেই, মানবতা ও জনস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে মুজিব শতবর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।’
ওবায়দুল কাদের গতকাল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসকে পুঁজি করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট যে মজুদদারির পাঁয়তারা শুরু করেছে তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে অভিযান শুরু হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে জনসমাগম এড়িয়ে আওয়াামী লীগের পক্ষ থেকে নেয়া বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শাহজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিবার বা দলের নেতার কথায় দন্ডিত আসামী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না। চিকিৎসকরা তার চিকিৎসার্থে কোনো সুপারিশ করলেই কেবল তা বিবেচনাযোগ্য। মানবিক কারণ বা চিকিৎসার জন্য তার জামিন আবেদন আদালত একাধিকবার নাকচ করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা প্রয়োজন একথা শুধু তার দলের নেতা বা পরিবারের লোকজন বলছেন। খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকরা সে কথা বলছেন না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা মোকাবেলায় রাজধানী ঢাকার সব হাসপাতালে প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জেলা-উপজেলার হাসপাতালগুলোও প্রস্তুতি রয়েছে। তিনি বলেন, করোনা নিয়ে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জানান, জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই জনসমাগম এড়াতে মুজিব বর্ষের কর্মসূচি পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। বিদেশী অতিথিরা আসবেন বলে যারা এ নিয়ে রাজনীতি করছেন তা সঠিক নয়। মুজিব বর্ষের কর্মসূচি পুনর্বিন্যাস করায় কোনো রাজনীতি নেই। ওবায়দুল কাদের মুজিব শতবর্ষের ১৭ মার্চের পুনর্বিন্যাসকৃত কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, এদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধন হবে। ওইদিন সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হবে। দলীয় ও জাতীয় পতাকা ওড়ানো হবে।
দেশের সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে। গরিব ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হবে। দেশের সব গণমাধ্যমে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করা হবে। রাত ৮টায় বঙ্গবন্ধুর জন্মক্ষণে একযোগে সারাদেশে আতশবাজি ফোটানো হবে। এছাড়া পুরো মুজিববর্ষে দলের পক্ষে বৃক্ষরোপণ এবং গৃহহীনদের ঘর দেয়া হবে।