করোনায় আজও প্রায় ১৫ হাজার শনাক্ত
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছেই। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ১৪ হাজার ৯২৫ জন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৯৪ হাজার ৭৫২ জনে।
এই সময়ে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও ২৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯ হাজার ৭৭৯ জনে।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গতকাল সোমবার ১৫ হাজার ১৯২ জনের করোনা শনাক্তের তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। যা এখন পর্যন্ত একদিন সর্বোচ্চ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ৬৩৯টি ল্যাবরেটরিতে ৫৫ হাজার ১৫৯টি নমুনা সংগ্রহ ও ৫২ হাজার ৪৭৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৭৫ লাখ ৫৮ হাজার ৭১১টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৫ দশমিক শূন্য ৮১ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১২ হাজার ৪৩৯ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১০ লাখ ২২ হাজার ৪১৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২৫৮ জনের মধ্যে শূন্য থেকে দশোর্ধ্ব দুইজন, বিশোর্ধ্ব আটজন, ত্রিশোর্ধ্ব ১৬ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ৩১ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৫৪ জন, ষাটোর্ধ্ব ৭৮ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৫০ জন, আশির্ধ্ব ১৭ জন এবং নব্বই বছরের বেশি বয়সী দুইজন মারা যান।
বিভাগওয়ারী হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ৮৪ জন, চট্টগ্রামে ৬১ জন, রাজশাহীতে ২১ জন, খুলনায় ৫০ জন, বরিশালে ১৩ জন, সিলেটে সাতজন, রংপুরে ১১ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১১ জন রয়েছেন।
বাংলাদেশে করোনা প্রথম শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর ভাইরাসটিতে একজনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।