April 16, 2024
আঞ্চলিক

কপিলমুনির ভাটা শ্রমিক আল মাহমুদকে অপহরণের চেষ্টা; আতংকে পরিবার!

কপিলমুনি প্রতিনিধি
ভাটার শ্রমিকের কাজে গিয়ে বিপাকে পড়েছে কপিলমুনির হাউলী প্রতাপকাটি গ্রামের আল মাহমুদ (৩৮) নামের এক ভাটা শ্রমিক। বছর শেষে দাদনের পুরো টাকা পরিশোধ করেও রেহায় দিচ্ছেনা ভাটা সরদার ও মালিক পক্ষ। পরিশোধ সত্তে¡ও জামানতের ষ্টাম্প দিয়ে আদালতে মিথ্যা মামলা ঠুকে দিয়েছে তারা। আদালতের নোটিশ পেয়ে মামলায় হাজিরা দিয়ে ফেরার সময় বিবাদী ভাটা শ্রমিক আল মাহমুদ কে অপহরন করার চেষ্টা চালায় সরদার ও মালিক পক্ষের লোকজন। এ ঘটনার পর আল মাহমুদ ও তার পরিবারের মাঝে চরম আতংক বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে অসহায় পরিবার।
জানা গেছে, পাইকগাছা উপজেলার খাটুয়ামারী গ্রামের ভাটা সরদার শামীম এর মাধ্যমে খুলনার রূপসা এলাকার আজাদ ইট ভাটায় দিন মজুর হিসাবে ২০১৭/১৮ সালের ১ সিজনের জন্য শ্রমিকের কাজ নেয় আল মাহমুদ। ঐ সময় অল্প টাকা দাদন হিসাবে দিয়ে ৩ শ টাকার নন জুডিশিয়াল সাদা ষ্টাম্পে আল মামুদ কে স্বাক্ষর নিয়ে নেয় ভাটা মালিক রনি সরদার ও শ্রমিক সরদার শামীম। এরপর মৌসুম শেষে লেনদেন পরিশোধের পর স্বাক্ষরকৃত ষ্টাম্প পরে দিবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। পরে ভাটা সরদার শামীম কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে ঐ ষ্টাম্পটি নিয়ে আসে এবং তা আল মাহমুদকে না দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা করার এক পর্যায় মনোমালিন্য দেখাদেয় ভাটা সরদার শামীম ও শ্রমিক আল মাহমুদের মধ্যে। এক পর্যায় আল মাহমুদকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় শামীম। পরে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের জন্য সাদা স্টাম্প নিয়ে সুকৌশলে খুলনার আদালতে মামলা ঠুকে দেয় সে। যার নং সি আর ৯/১৮।
এদিকে ২৩ ডিসেম্বর মামলার হাজিরা দিয়ে আদালত থেকে বাড়ি ফেরার সময় খুলনার শিশু হাসপাতালের সামনে পৌছালে বাদী শামীম ও তার লোকজন আল মাহমুদ সহ বিবাদীদেরকে ইজিবাইক থেকে জোর পূর্বক নামিয়ে অন্য গাড়ীতে উঠানোর চেষ্টা করে। ঐ সময় তাদের ডাক চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে এলে শামীমসহ অপহরণ কারীরা পালিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে আল মাহমুদ ও তার পরিবারে বিরাজ করছে চরম আতংক। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছে অসহায় পরিবার।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *