May 17, 2024
আঞ্চলিক

কপিলমুনিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র মেরামত বাবদ বরাদ্দকৃত সিংহভাগ টাকা লোপাট!

কপিলমুনি প্রতিনিধি

কপিলমুনি নাবা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছর বাজেটের আলোকে ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য বরাদ্ধকৃত সিংহভাগ টাকা তছরুফের অভিযোগ উঠেছে। যতসামান্য পুটিং ও আলতো ভাবে রংকাম করে বরাদ্ধকৃত পুরো টাকা খরচ দেখিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষক খুরশিদা আক্তার মিনি। এমনকি স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতির অগচরে রেখেই এমন কার্যক্রম চালিয়েছেন বলে তথ্য অনুসন্ধানকালে এমনটি উঠে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুদ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন খোদ সহকারী শিক্ষক থেকে শুরু করে এলাকার সচেতন মহল।

সূত্রমতে ও সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ১৮/১৯ অর্থবছরে দেশজুড়ে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য প্রাক-প্রাথমিক, ক্ষুদ্র মেরামত ও ¯িøপ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিটি বিদ্যালয়ের ন্যায় পাইকগাছা উপজেলার ৭নং নাবা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রাক-প্রাথমিক বাবদ ১০ হাজার, ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য ২ লক্ষ ও ¯িøপ এর দরুণ ২০ হাজার টাকা পায় প্রতিষ্ঠানটি। এমতাবস্থায় দু’টি রুম ও তিনটি বাথরুমের ইন ও আউট সাইডের কিছু কিছু জায়গায় ওয়াল থেকে খন্ড-খন্ড সিমেন্ট বালু উঠিয়ে পুনরায় বালু সিমেন্ট লেপে দিয়েছেন। এরপর আলতো ভাবে রংকাম শেষ করেই বরাদ্ধকৃত পুরো টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে একই চিত্র দেখাযায়। এসময় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সহকারী এক শিক্ষক এর সাথে আলাপকালে খোস গল্পের মাঝে ক্ষুদ্র মেরামত বাবদ বরাদ্ধকৃত মোটা অংকের টাকা তছরুপের আংশিক সত্যতা উঠে আসে। এমনকি স্কুল ও বাথরুম মেরামতের জন্য ১২ থেকে ১৩ বস্তা সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে বলে অকপটে প্রকাশ করেন ঐ শিক্ষক।

তবে ক্ষুদ্র মেরামত বাবদ বরাদ্ধকৃত ২ লক্ষ টাকার যথাযথ ব্যবহার হয়েছে কিনা জানতে চাইলে শিক্ষক খুরশিদা আক্তার মিনি বলেন, প্রাক-প্রাথমিক বাবদ ৯ হাজার, ক্ষুদ্র মেরামত বাবদ ১ লক্ষ ছিয়াশি হাজার টাকা ও ¯িøপের কোন টাকা এখন পর্যন্ত পাননি বলে জানান। একপর্যায়ে এ প্রতিবেদক সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে অপর প্রশ্ন করতেই একটু রাগান্বিত হয়ে মূল বিষয় এড়িয়ে গিয়ে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকেন।

এদিকে স্কুল প্রতিষ্ঠান মেরামতের সিংহভাগ টাকা লোপাটের বিষয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু বলেন, আমি শুধু মাত্র ¯িøপের টাকার বিষয়টি অবগত আছি। ক্ষুদ্র মেরামতের টাকার বিষয় আমি কিছু জানিনা। এমনকি প্রধান শিক্ষকও আমাকে কিছু বলেনি। তবে পুটিং পাটাং করার জন্য শুনেছি নাকি ৬ বস্তা সিমেন্ট ও লোনা বালু ব্যবহার করা হয়েছে।

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *