November 28, 2024
জাতীয়

ওঠানামা করছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে নতুন আরও ৯৫ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়েছেন। আর হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১০৫ জন। ঢাকার বাইরে আরও ১৮৮ জন নতুন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়েছেন। ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৯৯ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও ২৮৩  জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) এই সংখ্যা ছিল ৩০১ জন। অর্থাৎ, সারাদেশে এই সময়ে রোগী কমেছে ১৮ জন। তবে এর আগের ২৪ ঘণ্টায় রোগীর সংখ্যা একজন বেড়েছিল।

গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ন্যাশনাল হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার এ তথ্য  নিশ্চিত করেন।

এছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৩৮, ফেব্রুয়ারিতে ১৮, মার্চে ১৭, এপ্রিলে ৫৮, মে মাসে ১৯৩, জুনে ১ হাজার ৮৮৪, জুলাইয়ে ১৬ হাজার ২৫৩, আগস্টে ৫২ হাজার ৬৩৬ জন, সেপ্টেম্বরে ১৬ হাজার ৮৫৬ জন এবং অক্টোবরের ১৬ দিনে ৪ হাজার ৭৯৭ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাছাড়া বাংলাদেশে ২০১৯ সালেই সর্বোচ্চ ডেঙ্গুতে আক্রান্তের রেকর্ড স্থাপিত হয়েছে, যার মধ্যে আগস্ট মাসে ছিল সর্বোচ্চ।

ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে রাজধানীর ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৪৪৭ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। একই সময়ে ঢাকার বাইরে ৭২৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি। কমছে না ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সারাদেশে মোট ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন ১ হাজার ১৭৩ জন।

হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৯২ হাজার ৭৫০ জন। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৯১ হাজার ৩৩১ জন। অর্থাৎ আক্রান্তদের ৯৮ দশমিক ৪ শতাংশ রোগীই ছাড়পত্র পেয়েছেন।

সরকারের রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) কাছে ডেঙ্গু সন্দেহে ২৪৬ জন মৃত রোগীর তথ্য এসেছে। এরমধ্যে ১৫৮ জনের মৃত্যু পর্যালোচনা করে ৯৮ জনের ডেঙ্গুজনিত মৃত্যু নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

তবে মৃতের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে বলে জানা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে। এ সংখ্যা এখনও সরকারি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি। হাসপাতলে ভর্তি হয়ে মৃত ৯৮ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে এপ্রিলে ২, জুনে ৬, জুলাইয়ে ৩৪, আগস্টে ৪৭ এবং সেপ্টেম্বর মাসে ৪ জনের মৃত্যু হয়। আর এসব মৃত্যুর মধ্যে শিশুমৃত্যুর হারই সবচেয়ে বেশি বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *