‘এসডিজির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সবুজ বিনিয়োগ এগিয়ে নিতে হবে’
স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছেছে। দেশের অর্থনীতির এই অগ্রগতির ফলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে এখন আমাদের সবুজ ও পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগের দিকে নজর দিতে হবে।
শনিবার (৪ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইবিএ অডিটোরিয়ামে ইনস্টিটিউট অব এনার্জি আয়োজিত ‘সাসটেইনেবল গ্রিন বিজনেস’ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে পরিবেশের ক্ষতি হলে আমরা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা রেখে যেতে পারব না। তাই আমাদের মানুষের জীবনের মান উন্নত করার সঙ্গে পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, জ্বালানি বা এনার্জি শিল্পায়নের জন্য অপরিহার্য। সেই জ্বালানির উৎস পরিবেশবান্ধব না হলে তা সমগ্র মানবজাতিকে হুমকির মুখে ফেলে। এই বাস্তবতাকে মাথায় রেখেই সবুজ অর্থনীতি ও সবুজ বিনিয়োগ ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় গুরুত্ব পেয়েছে।
এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রযাত্রায় দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বাড়ার সঙ্গে ভোগব্যয়ও বেড়েছে। যার ফলে প্রচুর পরিমাণে আবর্জনা তৈরি হচ্ছে। সঠিক আবর্জনা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেও আমরা জ্বালানির উৎস পেতে পারি।
এ সময় তিনি জানান, ঢাকা শহরে প্রতিদিন ৬ হাজার টন আবর্জনা তৈরি হয়। এ আবর্জনা সঠিক ব্যবস্থাপনা করা গেলে দৈনিক ৪০ থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এ সময় বেসরকারি উদ্যোক্তাদের পরিবেশবান্ধব সবুজ বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সম্ভাবনাকে নির্মূল করে যে উন্নয়ন তা কখনো টেকসই হবে না। তাই ব্যবসায়ীদের এখন থেকেই পরিবেশবান্ধব সবুজ বিনিয়োগের দিকে গুরুত্ব সহকারে নজর দিতে হবে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) চেয়ারম্যান মনিরা সুলতানা।