‘এটা তো স্কুল না যে হেডমাস্টারের কাছে অভিযোগ করবেন’- ফেক ফিল্ডিং বিতর্কে জালাল
ভারতের বিপক্ষে বৃষ্টি আইনে ৫ রানে হারের পর আলোচনায় ফেক ফিল্ডিং ও ভেজা মাঠ। দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে থাকা লিটন দাস ভেজা মাঠে নিয়ন্ত্রণ হারালে রানআউট হন। বৃষ্টি নামার আগে নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটনের ডাবলস নেওয়ার সময় ফেক ফিল্ডিং করেছিলেন বিরাট কোহলি।
দুটি ইস্যুর একটিতেও বাংলাদেশের আপত্তিতে কান দেননি আম্পায়ার। ভেজা মাঠ ও ফেক ফিল্ডিং নিয়ে কথা চালিয়ে গিয়েছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কিন্তু আম্পায়ার তাদের সিদ্ধান্তে ছিলেন অটল। শুধু তাই নয়, শান্ত ফেক ফিল্ডিং নিয়ে তৎক্ষণাৎ অবগত করেন আম্পায়ারকে, কিন্তু কোনও সাড়া পাননি। আম্পায়ার জানান, তারা সেরকম কিছু দেখেননি।
এসব নিয়ে কী ভাবছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)? দলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় থাকা বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসকে বৃহস্পতিবার এসব নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, চাইলেই বোর্ড গিয়ে অভিযোগ করতে পারে না। তবে সঠিক জায়গায় এটা নিয়ে কথা বলার বিষয়ে ভাবছেন তারা।
‘এটা সহজ না যে কিছু হলেই বোর্ড গিয়ে আলাপ করবে। এটা তো স্কুল না যে আপনি হেডমাস্টারের কাছে অভিযোগ করবেন। এই ধরনের অবস্থা না। তারপরেও আমাদের মাথায় আছে এটা। যাতে সঠিক ফোরামে গিয়ে কথা বলতে পারি।’- এভাবেই বলছিলেন জালাল।
অন্য সবার মতো এসব নিয়ে নাখোশ জালালও। তাছাড়া আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া ছাড়া কোনও উপায়ও ছিল না সাকিবদের কাছে। জালাল বলেন, ‘দুটো ইস্যু ছিল, একটা ফেক থ্রো। সেটা আম্পায়ারের নজরে আনা হয়েছে, আম্পায়ার বলছে তারা এটা খেয়াল করেনি। যার জন্য রিভিউতে যায়নি। সাকিব এটা নিয়ে অনেক আলোচনা করেছে এরাসমাসের (আম্পায়ার) সাথে, খেলার পরেও কথা বলেছে। একই সময়ে মাঠ ভেজা নিয়েও কথা হয়েছিল, সাকিব বারবার বলছিল সময় নিয়ে মাঠটা শুকাও, তারপর খেলা শুরু করো। আপনারা জানেন আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। সে জন্য তর্ক বিতর্ক করার কোনও সুযোগ ছিল না, সিদ্ধান্ত একটা আপনি খেলবেন কি খেলবেন না।’
হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ বাংলাদেশ হারে ৫ রানে। বৃষ্টির আগে লিটনের নান্দনিকতা আর ঝড়ে কেঁপেছিল ভারত। মাত্র ৭ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৬৬ রান জমা হয়। এরপর বৃষ্টি আসে অভিশাপ হয়ে। বৃষ্টি আইনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬ ওভারে ১৫১। প্রয়োজন ৫৪ বলে ৮৫। পা পিছলে ২৭ বলে ৬০ রান করা লিটন আউট হলে ম্যাচও যেন হাতছাড়া হয়ে যায়। এলোমেলো শটে মিডল অর্ডার ধসে পড়ে। শেষ পর্যন্ত জয়ের কাছে গিয়েও ফিরতে হয়েছে হারের বেদনা নিয়ে।