এক গোল নিজে করলেন, তিনটি অ্যাসিস্ট, ডেম্বেলে নৈপুণ্যে বার্সার জয়
নিজে করলেন একটি গোল। সার্জি রবের্তো, রবার্ট লেওয়ানডস্কি এবং ফেরান তোরেসের গোলেও অ্যাসিস্ট করলেন তিনি। রোববার রাতে বলা যায় ওসমান ডেম্লেলের একক নৈপুণ্যে দুর্দান্ত এক জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। ৪-০ গোলে হারিয়েছে অ্যাথলেটিক বিলবাওকে।
এই জয়ে দ্বিতীয় স্থানেই রইলো বার্সেলোনা। ১১ ম্যাচে তাদের অর্জন ২৮ পয়েন্ট। সমান সংখ্যক ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ ৩১ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে শীর্ষে। তবে তৃতীয় স্থানে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের চেয়ে এগিয়ে আছে ৫ পয়েন্ট। ১১ ম্যাচে অ্যাটলেটিকোর পয়েন্ট ২৩।
বাস্ক অঞ্চলের দলটির মৌসুমের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। বেশ কয়েকটি ম্যাচ জিতেছিল তারা। ১ পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে তারা ছিল তিন নম্বর পজিশনে। কিন্তু টানা চার সপ্তাহ কোনো জয় না থাকার কারণে এখন ১৮ পয়েন্ট নিয়ে ৬ষ্ঠ স্থানে রয়েছে তারা।
বার্সার সাবেক কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দে আবারও ফিরে এলেন ন্যু ক্যাম্পে। তবে প্রতিপক্ষের কোচ হয়ে। তিনি এখন অ্যাটলেটিকো বিলবাওয়ের কোচ। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বার্সা থেকে বরখাস্ত হন ভালভার্দে।
বিলবাওয়ের বিপক্ষে নিজের প্রিয় ফরম্যাট ৪-৩-৩ থেকে সরে এসে বার্সা কোচ জাভি হার্নান্দেজ দলকে খেলান ৪-২-৩-১ ফরমেশনে। লেওয়ানডস্কিকে একেবারে রেখে ওসমান ডেম্বেলের জন্য অনেক জায়গা ছেড়ে দেন তিনি এবং স্বাধীনভাবে খেলার সুযোগ করে দেন।
এতেই দুর্দান্ত কাজ হলো। নিজে তো একটি গোল করলেনই, তিনটি গোলে অবদান রাখলেন ডেম্বেলে। ম্যাচ শেষে জাভি বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, এই ম্যাচটি সর্বোচ্চ রিদম দিয়ে খেলবো। তারা খুব চাপ সৃষ্টি করবে, এটা জানা ছিল। এ কারণে, একজন আলাদা মিডফিল্ডার দিয়ে তাদেরকে মাঝমাঠেই আটকে রাখার চেষ্টা করলাম। আমার মতে, এটাই কাজে দিয়েছে।’
ম্যাচের ১২তম মিনিটেই গোল করে স্বাগতিক বার্সেলোনা। গোল করেন ডেম্বেলে নিজে। দ্বিতীয় গোলটি আসে ১৮তম মিনিটে। ডেম্বেলের অ্যাসিস্টে গোলটি করেন সার্জি রবের্তো। ৪ মিনিট পর (২২ মিনিটে) আবারও গোল। এবার গোল দিলেন রবার্ট লেওয়ানডস্কি। অর্থ্যাৎ ১০ মিনিটের ব্যবধানে ৩-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে অ্যাটলেটিক বিলবাও।
৭৩ মিনিটে গোল করেন ফেরান তোরেস। এই গোলেরও জোগানদাতা ওসমান ডেম্বেলে।