এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি আছে, অপেক্ষা উপযুক্ত পরিবেশের: মন্ত্রী
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে আটকে যাওয়া উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়ার ‘সমস্ত প্রস্তুতি’ সরকারের রয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, পরিবেশ উপযুক্ত হলেই পরীক্ষা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় গত ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। দুই মাস লকডাউনের পর অফিস-কারখানা-যানবাহন চালু করে কিছু বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানো হয়েছে ৬ অগাস্ট পর্যন্ত।
গত ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও মহামারীর কারণে গত ২২ মার্চ তা স্থগিত করে সরকার। ভাইরাসের প্রকোপ না কমলে পরীক্ষা নেওয়ার ঝুঁকি নেওয়া ঠিক হবে না বলেই সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
শিক্ষামন্ত্রী সংসদে বলেন, “করোনা সঙ্কটকালে অনলাইন ও টেলিভিশনে পাঠ দান করছে। টেলিভিশনের মাধ্যমে শতকরা প্রায় ৯২ শতাংশ শিক্ষার্থীর কাছে আমরা পৌঁছতে সক্ষম হয়েছি। অনলাইনে পাঠদানে আজ নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম চালু করা হবে। সব বিশ্ববিদ্যালয় এটি ব্যবহার করতে পারবে।”
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এরকম সময়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা থাকলেও সবাই আসুন এই সময়টাকে কাজে লাগাই। পারিবারিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করি। নতুন দক্ষতা অর্জন করবার চেষ্টা করি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবার প্রতি মানবিক আচরণ করি।”
দূরশিক্ষণ সহজ করতে মোবাইল সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে ফোন বা ইন্টারনেট সেবার বিপরীতে সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব প্রত্যাহারের দাবি জানান শিক্ষামন্ত্রী।
কালো টাকা সাদা করার সুযোগকে ‘অনৈতিক’ হিসেবে বর্ণনা করে দীপু মনি বলেন, এটি অর্থনৈতিকভাবেও তেমন ‘ফলদায়ক নয়’। এই সুযোগ ‘রাজনৈতিকভাবে জনপ্রিয়তা’ বৃদ্ধি করে না, এটি দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে তিনি মনে করেন না।
বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হলেও তা আরো কিছুটা বাড়ানো যায় কিনা- তা বিবেচনা করতে বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে টার্নওভার ট্যাক্সসীমা ৫০ লাখের পরিবর্তে এক কোটি টাকার প্রস্তাব করেন। পাশাপাশি ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণ খেলাপীদের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও আহ্বান জানান।