উপক‚লীয় অঞ্চলে মাছ চাষে নারীদের সম্পৃক্ততায় উৎপাদন বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা : খুবি উপাচার্য
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেছেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় উপক‚লীয় এলাকা মাছের আধার। পরিকল্পিতভাবে মাছ চাষ, সম্প্রসারণ, আহরণ ও সংরক্ষণ করতে পারলে উৎপাদন বৃদ্ধির এখনও বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। আর মৎস্য চাষে নারীদের সম্পৃক্ততা অধিকহারে বাড়াতে পারলে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা সম্ভব।
গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় গল্লামারীস্থ মৎস্যবীজ উৎপাদন খামারে সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের উদ্যোগে আয়োজিত জেন্ডার মূলধারাকরণ বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে নারীদের ক্ষমতায়ন ও আর্থ-সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি নারী উন্নয়ন নীতিমালা করেছেন। সকল পেশায় এখন নারীদের অংশগ্রহণের হার বেড়েছে। সমাজ এগিয়ে যাচ্ছে। নারী-পুরুষ একসাথে কাজ করার ফলে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা আর কেউ থামাতে পারবে না। বিশ্বে এবং আঞ্চলিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান সৃষ্টিতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজের এই প্রকল্পে নারী সম্পৃক্ততার শতকরা ২০ ভাগের যে হার নির্ধারণ করা হয়েছে তা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা যায়। কারণ এ এলাকার বহু নারী, মা-মেয়েরা মাছ চাষে সরাসরি সম্পৃক্ত। তিনি এ প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের ফলে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন। প্রকল্পে গবেষণার দিক থাকাটা ইতিবাচক বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুর রউফ, মৎস্য অধিদপ্তর, খুলনা বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ আবু ছাইদ, মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুদ দাইয়ান। প্রকল্প সম্পর্কে উপস্থাপনা করেন সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক সরোজ কুমার মিস্ত্রি। কারিগরি সেশনে মূল প্রকল্প উপস্থাপন করেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মনিষ কুমার মন্ডল। কর্মশালায় মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা, মৎস্যচাষী নারী-পুরুষ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ ৬০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় গৃহীত এ প্রকল্পে এ অঞ্চলের খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, যশোর, গোপালগঞ্জ জেলা আওতাভুক্ত। খুলনা সদর ছাড়া ৯টি উপজেলা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রকল্পের বিভিন্ন কম্পোনেন্টে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া এ প্রকল্পের আওতায় খুলনা ও সাতক্ষীরায় দু’টি পিসিআর ল্যাব, খুলনা ও গোপালগঞ্জে দু’টি ফিশ ডায়াগনস্টিক ল্যাব এবং বাগেরহাট ও ভোমরায় দু’টি কোয়ারেন্টাইন ল্যাব স্থাপন করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় ৫শ’ হেক্টর খাল খনন করা হবে বলে জানান উপ-প্রকল্প পরিচালক সরোজ কুমার মিস্ত্রি।