May 3, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্টশিক্ষাশীর্ষ সংবাদ

ঈদে বাড়ি ফিরতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চান খুবি শিক্ষার্থীরা

খুবি প্রতিনিধি
করোনা প্রকোপের কারনে আরোপিত কঠোর লকডাউনের কারণে ঈদুল আজহা’য় বাড়ি ফিরতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস সুবিধা চান আটকে পড়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে খুলনাতে করোনা’র সংক্রমণ এবং মৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাওয়াতে তাদের মধ্যে আতঙ্কও বিরাজ করছে।
তারা বলেন, করোনা মহামারির জন্য লকডাউন আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এই লকডাউন ঈদ পর্যন্ত থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এমতবস্থায় খুলনা থেকে অন্যান্য জেলায় যাওয়ার জন্য কোনো দূরপাল্লার বাস যোগাযোগের ব্যবস্থা নেই। খুলনায় আটকে থাকা আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য খুব কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
ইংরেজি ডিসিপ্লিনের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মো: হাবিবুর রহমান বলেন, যেহেতু প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সুবিধা পাওয়া যায় না, তাই অনলাইন ক্লাস এবং বিভিন্ন সময়ে অনলাইনে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হওয়ায় আমরা অনেকেই খুলনায় চলে আসি। কিন্তু হঠাৎ করেই সরকার কঠোর লকডাউন ঘোষণায় আমাদের বাড়ি পেরা অনিশ্চিত হয়ে গেছে। এদিকে, খুলনার করোনা অবস্থাও দেশের অন্যান্য জেলা এবং বিভাগীয় শহর থেকে ভয়াবহ। দিন যতোই যাচ্ছে খুলনার করোনা সংকটও বেড়েই চলেছে। এমতাবস্থায় আমাদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিয়ে আমাদের পরিবারও চিন্তিত ও আতঙ্কিত। এই এই পরিস্থিতে খুলনায় অবস্থান করে নিজের খরচ চালানোও অনেকের জন্য অসম্ভব। তাই ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি ভার্সিটির বাসের মাধ্যমে আমাদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করের তাহলে আমরা খুবই উপকৃত হবো।
শনিবারছাত্র বিষয়ক পরিচালকের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ঈদ সম্পর্কে দেওয়া এক পোস্টেও এমন অভিব্যক্তিই ব্যক্ত করেছেন অনেক শিক্ষার্থী। রসায়ন ডিসিপ্লিনের ‘২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো: সাদ্দাম হোসাইন লিখেছেন, অনলাইন ক্লাস (বাসায় নেট সমস্যা থাকায়) টিউশনি , ভার্সিটি খুলার জন্য ভিন্ন ভিন্ন তারিখ দেওয়াতে অনেকেই ক্যাম্পাসে চলে আসে। হলরুটে বা আশেপাশে মেছে অনেকেই অবস্থান করতেছে গণপরিবহন বন্ধ থাকায়।ছাত্র বিষয়ক পরিচালক স্যারদের দৃষ্টি আর্কষণ করতেছি যদি ভার্সিটির বাস দিয়ে বিভাগীয় শহরের পৌছে দেওয়া হয় তাহলে খুব উপকৃত হবে স্টুডেন্টগণ।
আরেক শিক্ষার্থী, মোয়াজ্জেম হোসেন প্লাবন লিখেছেন, শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাস থেকে বাসের ব্যবস্থা করলে ভাল হয়, অন্তত বিভাগীয় শহরগুলোতে। ছাত্রদের সুবিধার জন্য যদি একটু নমনীয় হতে না পারেন, তাহলে কি লাভ আমাদের ছাত্র বিষয়ক দপ্তর থেকে?
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খুবির ছাত্রবিষয়ক পরিচালক মো. শরীফ হাসান লিমন বলেন, “১৪ তারিখের আগ পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। খুলনা জেলা বর্তমানে করোনার হটস্পট জোনে আছে। এই অবস্থায় থেকে আমরা কতটুকু কি করতে পারবো সেবিষয়ে নিশ্চিত নই। ইতোমধ্যে কিছু শিক্ষার্থীর সাথে আমার এই বিষয়ে কথা হয়েছে তাছাড়া আমরাও আলোচনা করছি। লকডাউন তুলে নেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সাথে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *