ইভ্যালী মামলা : ‘তদন্তে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’
আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির কর্মকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে জনপ্রিয় তারকা তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক এ মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তদন্তে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে ধানমন্ডি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আদালতের আদেশে মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করেছি। মামলা নম্বর-৫। একজন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজনে আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবেন।’
একজন সন্দেহভাজন আসামি দেশের বাইরে থাকেন, তার বিষয়ে ওসি বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তদন্তে কার কতটুকু সংশ্লিষ্টতা আছে- এ বিষয় নিশ্চিত হওয়ার পরই আসামিদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. রাজিব হাসান বলেন, উক্ত মামলায় ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও এমডি মোহাম্মদ রাসেলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকিদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধানমন্ডি থানায় করা মামলায় তাহসান, মিথিলা ও শবনম ছাড়াও ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল, তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামিমা নাসরিন, আকাশ, আরিফ, তাহের ও আবু তাইশ কায়েসকে আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে সাদ স্যাম রহমান এ মামলা করেন।
মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, প্রতারণামূলকভাবে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ ও এতে সহায়তা করা হয়েছে। আত্মসাৎ টাকার পরিমাণ ৩ লাখ ১৮ হাজার। যা তিনি এখনও উদ্ধার করতে পারেননি।
মামলার এজাহারে বলা হয়, তাহসান, মিথিলা ও শবনম ফারিয়া ইভ্যালির বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। তাদের উপস্থিতি এবং তাদের বিভিন্ন প্রমোশনাল কথাবার্তার কারণে আস্থা রেখে বিনিয়োগ করেন সাদ স্যাম রহমান। এসব তারকার কারণে মামলার বাদী প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।