April 24, 2024
জাতীয়

ইভিএমে হবে সব নির্বাচন

 

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

আগামীতে যতো নির্বাচন হবে, সবগুলোতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিরোধী দলগুলোর আপত্তির মধ্যেও এ সিদ্ধান্তের ফলে ভোটযন্ত্রটির ব্যবহারে আরেক ধাপ এগিয়ে গেলো দেশ।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত কমিশন বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে শেষে ইসির যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দেশে প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোটগ্রহণের প্রথা চালু করে এটিএম শামসুল হুদার কমিশন ২০১০ সালে। সেই ভোটযন্ত্র তৈরি করে দিয়েছিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। শামসুল হুদা কমিশনের পরিকল্পনা ছিল স্থানীয় নির্বাচনে যন্ত্রটির জনপ্রিয়তা অর্জনের পর ২০১৯ সালের সংসদ নির্বাচনেও ব্যবহার করা।

গড়ে ২০ হাজার টাকার সেই ইভিএমের একটি ২০১৩ সালে রাজশাহীর সিটি নির্বাচনের (রাসিক) একটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের সময় বিকল হয়ে যায়। সে সময় দায়িত্বে ছিল কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের কমিশন। মেশিনটি আর ঠিক করা সম্ভব না হলে পরে নির্বাচন কমিশন আবার ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ করে। সেই থেকে ওই ইভিএমগুলো আর ব্যবহার করা হয়নি।

রকিব কমিশন এরপর নতুন করে উন্নতমানের মেশিন তৈরির উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বর্তমান নূরুল হুদা কমিশন প্রতি মেশিন দুই লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়ে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কাছ থেকে তৈরি করে নিচ্ছে।

এই উন্নতমানে ইভিএম দিয়ে রংপুর, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা, বরিশাল সিটি নির্বাচনে বেশ সাড়া পায় নির্বাচন কমিশন। তারপরই একাদশ সংসদ নির্বাচনেও সেটি ব্যবহার করে ইসি। এরপর পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে ১০ উপজেলায় এ যন্ত্রে ভোটগ্রহণ করে। আগামী ৫ মে (রোববার) অনুষ্ঠেয় ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) নির্বাচনে সম্পূর্ণভাবে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে।

এবার সব নির্বাচনেই ইভিএমের ভোটগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিলো ইসি। যদিও নতুন এই ‘উন্নত’ ইভিএম দিয়ে দ্রুত ফল প্রকাশ করতে পারছে না ইসি। এছাড়া ভোটের হারও অনেক কম পড়ছে। এরইমধ্যে এ যন্ত্রে ভোটগ্রহণের জন্য ৮২ হাজার মেশিন প্রস্তুত করেছে সংস্থাটি। এজন্য নতুন একটি প্রকল্পও হাতে নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ বেশ কিছু দল ইভিএমে ভোটগ্রহণ চাইলেও বিএনপিসহ বেশকিছু দল যন্ত্রটির ব্যবহার চায় না। ইভিএমে ভোটগ্রহণের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনও ব্যাপক তৎপর।

 

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *