May 8, 2024
আন্তর্জাতিককরোনা

ইউরোপে আবারও বিধিনিষেধ

করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়া অব্যাহত থাকায় আবারও বিধিনিষেধ আরোপ করতে যাচ্ছেন ইউরোপিয়ান নেতারা।

জার্মানি ও পর্তুগালসহ কয়েকটি দেশ বড়দিনের পরই বিধিনিষেধ আরোপ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম বহালের ঘোষণা দিয়েছে।

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ইউরোপীয় শীর্ষ কর্মকর্তা হ্যান্স ক্লুজ বলেছেন, ওমিক্রনের চলমান ঢেউ মহাদেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে খাদের কিনারায় নিয়ে যাবে। করোনার আরও একটি ঝড় আসছে। সরকারগুলোর সংক্রমণ বৃদ্ধির ব্যাপারে প্রস্তুত হওয়া উচিত।

এদিকে জার্মানি ঘোষণা দিয়েছে, আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে বিধিনিষেধ পুনরায় চালু হচ্ছে। এ সময় ১০ জনের বেশি লোক একসঙ্গে জমায়েত হতে পারবেন না। নাইট ক্লাবগুলো বন্ধ থাকবে। এমনকি ওই তারিখ থেকে নির্ধারিত ফুটবল ম্যাচগুলো দর্শকবিহীন অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলস বলেন, করোনা ভাইরাস বড়দিনের ছুটি নেয় না। আমরা পরবর্তী ঢেউয়ের ব্যাপারে চোখ বন্ধ করে রাখতে পারি না, কারণ এটি ইতোমধ্যে আমাদের ওপর শুরু হয়ে গেছে।

অপরদিকে আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে বার ও নাইটক্লাবগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে পর্তুগাল। ওই দিন থেকে আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত হোম অফিস বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ সময় ১০ জনের বেশি লোক একসঙ্গে জমায়েত হতে পারবেন না বলেও জানানো হয়েছে।

তবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বড়দিনের আগে কোনো ধরনের বিধিনিষেধ আরোপের বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছেন। যদিও স্কটল্যান্ড, ওয়ালস এবং নর্দান আয়ারল্যান্ডে সামাজিক মেলামেশা সীমিত করা হয়েছে।

সুইডেনে বুধবার থেকে বার, ক্যাফে ও রেস্তোরাঁগুলো কেবল আসনে বসা অতিথিদের সেবা দেবে। এছাড়া সম্ভব হলে হোম অফিস করতে বলা হয়েছে।

ইতোমধ্যে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে নেদারল্যান্ডস। সোমবার থেকে কঠোর লকডাউন চলছে দেশটিতে। তবে বিবিসির ইউরোপীয় প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ইউরোপিয়ান নেতারা বড়দিনের উৎসব শেষ না হওয়া পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করতে চাচ্ছেন না।

ইউরোপে ইতোমধ্যে প্রায় ৯ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ মানুষের।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *