ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার বিবাদ
ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে বৈঠকে বসেছিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। কিন্তু রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিবাদে সেই বৈঠক জন্ম দিলো আলোচনার।
ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা মোতায়েনকে কেন্দ্র করে আলোচনার জন্য ওই বৈঠক ডেকেছিল যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।
বৈঠকে মার্কিন দূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে যত সেনা মোতায়েন করেছে তা ইউরোপ গত কয়েক দশকের মধ্যে দেখেনি। ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় এক লাখ সেনা, ট্যাঙ্ক, আর্টিলারি এবং ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
তবে বৈঠকে রাশিয়ার বিশেষ দূত অভিযোগ করেন, দেশটির বিষয়ে ‘অগ্রহণযোগ্য’ হস্তক্ষেপ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যদিও রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করলে তাদের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রুস জানান, ক্রেমলিনের ঘনিষ্ট ব্যক্তি এবং ব্যবসায়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে বর্তমানের তুলনায় আরও কঠিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছেন আইনপ্রণেতারা।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) নিরাপত্তা পরিষদের ওই বৈঠকে রুশ দূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, এমন কোনও প্রমাণ নেই যেখানে রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে কোনও সামরিক পদক্ষেপের পরিকল্পনা করছে। রাশিয়া প্রায়ই নিজেদের বিভিন্ন অঞ্চলে সেনা মোতায়েন করে থাকে। আর এটা পর্যবেক্ষণ করা ওয়াশিংটনের কাজ নয়।
তবে সব কিছুর পরেও অব্যাহত রয়েছে কূটনৈতিক তৎপরতা।
সোমবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। অপরদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন জানিয়েছেন, মঙ্গলবার তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট সেরগেই লেভরভের সঙ্গে ফোনালাপ করবেন।